Dhaka ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরগুনায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • 41

বরগুনা প্রতিনিধি: বন্যাকবলিত উপকূলীয় বরগুনায় প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় বাঁধ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ২৮ মে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ছয়টি উপজেলায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ৩১ হাজার ৭০০ জন এবং ১৬ হাজার ৪০৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। ছয় হাজার হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। চার হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির মাছের ঘের ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, জেলার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে নলটোনা, পালের বালিয়াতলী, কালমেঘা, রামনা এবং কালিকাবাড়ী, তেঁতুলবাড়ীয়া, মাঝেরচর, বদরখালী নামক জায়গায় বাঁধ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। যা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে সেই সব স্থানে দ্রুত সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি। জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব নিয়ে ছয়টি উপজেলাতেই ইউএনওরা ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে তালিকা তৈরি করছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বরগুনায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত

Update Time : ০১:৩২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

বরগুনা প্রতিনিধি: বন্যাকবলিত উপকূলীয় বরগুনায় প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় বাঁধ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ২৮ মে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ছয়টি উপজেলায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ৩১ হাজার ৭০০ জন এবং ১৬ হাজার ৪০৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। ছয় হাজার হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। চার হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির মাছের ঘের ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, জেলার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে নলটোনা, পালের বালিয়াতলী, কালমেঘা, রামনা এবং কালিকাবাড়ী, তেঁতুলবাড়ীয়া, মাঝেরচর, বদরখালী নামক জায়গায় বাঁধ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। যা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে সেই সব স্থানে দ্রুত সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি। জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব নিয়ে ছয়টি উপজেলাতেই ইউএনওরা ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে তালিকা তৈরি করছেন।