Dhaka ০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল শিশু শ্রমিকের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • 33

আনোয়ারের রহমান বাবুল, লক্ষীপুর : লক্ষীপুরে কর্মক্ষেত্রে বজ্রপাতের শিকার হয়ে নাঈম (১২) নামে এক শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১২ জুন) বিকেল তিনটার দিকে জেলা শহরের দক্ষিণ তেহমুনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর মৃতদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নাঈম সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আব্দুল আলিমের ছেলে ও বর্তমানে লক্ষীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আবিরনগর গ্রামের নানা মো. সিরাজের বাড়িতে বসবাস করতো। পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে মো. রিয়াজের কাঠের ফার্ণিসার দোকানে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয় নাঈম। এ সময় মো. রাসেল (১৫) এক শিশু কিছুটা আহত হয়। ফার্ণিসার দোকানের মালিক মো. রিয়াজ বলেন, নাঈম ও রাসেল তার ফার্ণিসার দোকানে কাজ করে। সোমবার দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, সেই সাথে বজ্রপাতও হয়। এসময় তিনিসহ রাসেল ও নাঈম তার দোকানে ছিল। হঠাৎ একটি বজ্রপাত হলে নাঈম গুরুতর আহত হয়। সাথে সাথে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতের তাপে দোকান কর্মচারী রাসেলও কিছুটা আহত হয়। নাঈমের নানা সিরাজ জানান, নাঈমের বাবা আবদুল আলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। কিন্তু তার বাবার সাথে মা নাছিমার ছাড়াছাড়ি হয়। পরে নাছিমার সাথে জাহাঙ্গীর নামে একজনের বিয়ে হয়েছে। নাঈম তাদের দুই জনের সাথে নানা সিরাজের বাড়িতেই থাকতো।

সে মাদরাসায় ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে এখন ফার্ণিসার দোকানে কাজ শিখতে যায়। গত ৩-৪ মাস ধরে সে কাজ শিখছে। আজ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়। লক্ষীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Tag :

লক্ষীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল শিশু শ্রমিকের

Update Time : ০৭:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

আনোয়ারের রহমান বাবুল, লক্ষীপুর : লক্ষীপুরে কর্মক্ষেত্রে বজ্রপাতের শিকার হয়ে নাঈম (১২) নামে এক শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১২ জুন) বিকেল তিনটার দিকে জেলা শহরের দক্ষিণ তেহমুনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর মৃতদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নাঈম সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আব্দুল আলিমের ছেলে ও বর্তমানে লক্ষীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আবিরনগর গ্রামের নানা মো. সিরাজের বাড়িতে বসবাস করতো। পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে মো. রিয়াজের কাঠের ফার্ণিসার দোকানে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয় নাঈম। এ সময় মো. রাসেল (১৫) এক শিশু কিছুটা আহত হয়। ফার্ণিসার দোকানের মালিক মো. রিয়াজ বলেন, নাঈম ও রাসেল তার ফার্ণিসার দোকানে কাজ করে। সোমবার দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, সেই সাথে বজ্রপাতও হয়। এসময় তিনিসহ রাসেল ও নাঈম তার দোকানে ছিল। হঠাৎ একটি বজ্রপাত হলে নাঈম গুরুতর আহত হয়। সাথে সাথে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতের তাপে দোকান কর্মচারী রাসেলও কিছুটা আহত হয়। নাঈমের নানা সিরাজ জানান, নাঈমের বাবা আবদুল আলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। কিন্তু তার বাবার সাথে মা নাছিমার ছাড়াছাড়ি হয়। পরে নাছিমার সাথে জাহাঙ্গীর নামে একজনের বিয়ে হয়েছে। নাঈম তাদের দুই জনের সাথে নানা সিরাজের বাড়িতেই থাকতো।

সে মাদরাসায় ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে এখন ফার্ণিসার দোকানে কাজ শিখতে যায়। গত ৩-৪ মাস ধরে সে কাজ শিখছে। আজ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়। লক্ষীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।