Dhaka ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • 2192

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ অপহরণের পর হত্যা মামলার দীর্ঘ ১২ বছর যাবত পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিন্নাত আলী (৩৮) কে সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। গত ২৪ মে বুধবার ঢাকার সাভার মডেল থানাধীন উলাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাহাকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ২০০৯-১০ সাল হতে আসামী মোঃ জিন্নাত আলী নেতৃত্বে জিন্নাত গ্যাং নামক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ঢাকা জেলার ধামরাই এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে । এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১০ সালেন ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাতসহ তার গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যের মাধ্যমে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কুশুরা ইউপিস্থ কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামক এক কিশোরকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার পরিবারের নিকট মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিমের পরিবার আর্থিকভাবে বেশি স্বচ্ছল না হওয়ায় তারা গ্রেফতারকৃত আসামীর দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করতে সমর্থ ছিলো না যার প্রেক্ষিতে তারা স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহতি করে। ভিকটিমের পরিবার মুক্তিপনের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা ভিকটিম দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে আসামি জিন্নাতসহ অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় থানা পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ভিকটিম দানিশের লাশ খুঁজে পায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা শোভা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে ধামরাই থানা পুলিশ কর্তৃক আসামী জিন্নাত ও তার একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করলে পরবর্তী বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারকার্য চলাকালীন ১৮ মাস কারাভোগের পরে শর্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাত জামিনে বেরিয়ে আসে।

পরিশেষে বিজ্ঞ আদালত গত ২০২২ সালে দানিশ অপহরণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। আসামীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে লোক চক্ষুর আড়ালে সে আত্মগোপনে করে এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী

ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

Update Time : ০৫:০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ অপহরণের পর হত্যা মামলার দীর্ঘ ১২ বছর যাবত পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিন্নাত আলী (৩৮) কে সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। গত ২৪ মে বুধবার ঢাকার সাভার মডেল থানাধীন উলাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাহাকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ২০০৯-১০ সাল হতে আসামী মোঃ জিন্নাত আলী নেতৃত্বে জিন্নাত গ্যাং নামক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ঢাকা জেলার ধামরাই এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে । এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১০ সালেন ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাতসহ তার গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যের মাধ্যমে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কুশুরা ইউপিস্থ কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামক এক কিশোরকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার পরিবারের নিকট মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিমের পরিবার আর্থিকভাবে বেশি স্বচ্ছল না হওয়ায় তারা গ্রেফতারকৃত আসামীর দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করতে সমর্থ ছিলো না যার প্রেক্ষিতে তারা স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহতি করে। ভিকটিমের পরিবার মুক্তিপনের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা ভিকটিম দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে আসামি জিন্নাতসহ অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় থানা পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ভিকটিম দানিশের লাশ খুঁজে পায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা শোভা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে ধামরাই থানা পুলিশ কর্তৃক আসামী জিন্নাত ও তার একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করলে পরবর্তী বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারকার্য চলাকালীন ১৮ মাস কারাভোগের পরে শর্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাত জামিনে বেরিয়ে আসে।

পরিশেষে বিজ্ঞ আদালত গত ২০২২ সালে দানিশ অপহরণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। আসামীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে লোক চক্ষুর আড়ালে সে আত্মগোপনে করে এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে।