০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শাঁখারীবাজারে শাঁখা-শঙ্খ বিক্রির ধুম

  • আপডেট: ১২:৫১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 25

মিশু দাশ : শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীর শাঁখারীবাজারের শাঁখা, সিঁদুর ও শঙ্খের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় করছেন ক্রেতারা। ভালো মানের শাঁখার খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শাঁখা কিনতে শাঁখারীবাজারে ছুটে আসছেন অগণিত মানুষ। বাহারি ডিজাইনের শাঁখার খোঁজে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন। তিনশত টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ -ছয় হাজার টাকা জোড়া দামের শাঁখাও কিনছেন অনেকে। শঙ্খ বিক্রি হচ্ছে দুইশত টাকা থেকে পাঁচশত টাকার মধ্যেই। শাঁখারীবাজারের বিক্রেতারা জানান, একসময় প্রাচীন পদ্ধতিতে এখানকার বেশিরভাগ দোকানে নিপুণ হাতে শাঁখা তৈরি হতো। তবে এখন আগের সেই সময় নেই। হাতে তৈরি শাঁখার কদর কমেছে। এখন মেশিনে তৈরি হয় বাহারি ডিজাইনের শাঁখা। যদিও মেশিনের চেয়ে হাতে বানানো শাঁখার মান ভালো। কিন্তু মেশিনে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন খুব সহজেই করা যায়। হাতে সেই সুযোগ কম। তাই মানুষ এখন টেকসই না খুঁজে বিচিত্র ডিজাইন খোঁজ করেন। হাতে তৈরি শাঁখার ঐতিহ্যের বিষয়ে এই ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন হাতে তৈরি শাঁখা তেমন হয় না বললেই চলে। হাতে একজোড়া শাঁখা তৈরি করতে যে সময় ব্যয় হয়, মেশিনে ওই সময়ে ১০ জোড়া শাঁখা বানানো যায়। তাছাড়া হাতে মেশিনের মতো বাহারি ডিজাইন করা যায় না। মজুরি কম হওয়ায় এখন কেউ শাঁখা তৈরির কারিগরও হতে চান না। তবে অনেকে এখনও হাতে তৈরি শাঁখা পরেন। সেক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ মতো ডিজাইন দিয়ে যান। আমরা সে অনুযায়ী শাঁখা তৈরি করে দেই।

সর্বাধিক পঠিত

ফটিকছড়িন ধর্মপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শাঁখারীবাজারে শাঁখা-শঙ্খ বিক্রির ধুম

আপডেট: ১২:৫১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিশু দাশ : শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীর শাঁখারীবাজারের শাঁখা, সিঁদুর ও শঙ্খের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় করছেন ক্রেতারা। ভালো মানের শাঁখার খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শাঁখা কিনতে শাঁখারীবাজারে ছুটে আসছেন অগণিত মানুষ। বাহারি ডিজাইনের শাঁখার খোঁজে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন। তিনশত টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ -ছয় হাজার টাকা জোড়া দামের শাঁখাও কিনছেন অনেকে। শঙ্খ বিক্রি হচ্ছে দুইশত টাকা থেকে পাঁচশত টাকার মধ্যেই। শাঁখারীবাজারের বিক্রেতারা জানান, একসময় প্রাচীন পদ্ধতিতে এখানকার বেশিরভাগ দোকানে নিপুণ হাতে শাঁখা তৈরি হতো। তবে এখন আগের সেই সময় নেই। হাতে তৈরি শাঁখার কদর কমেছে। এখন মেশিনে তৈরি হয় বাহারি ডিজাইনের শাঁখা। যদিও মেশিনের চেয়ে হাতে বানানো শাঁখার মান ভালো। কিন্তু মেশিনে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন খুব সহজেই করা যায়। হাতে সেই সুযোগ কম। তাই মানুষ এখন টেকসই না খুঁজে বিচিত্র ডিজাইন খোঁজ করেন। হাতে তৈরি শাঁখার ঐতিহ্যের বিষয়ে এই ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন হাতে তৈরি শাঁখা তেমন হয় না বললেই চলে। হাতে একজোড়া শাঁখা তৈরি করতে যে সময় ব্যয় হয়, মেশিনে ওই সময়ে ১০ জোড়া শাঁখা বানানো যায়। তাছাড়া হাতে মেশিনের মতো বাহারি ডিজাইন করা যায় না। মজুরি কম হওয়ায় এখন কেউ শাঁখা তৈরির কারিগরও হতে চান না। তবে অনেকে এখনও হাতে তৈরি শাঁখা পরেন। সেক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ মতো ডিজাইন দিয়ে যান। আমরা সে অনুযায়ী শাঁখা তৈরি করে দেই।