সূর্যোদয় প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে প্রেসক্লাব এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এখনও ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে একটার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র্যালি নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে চলে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষককর্মীকে তুলে নেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। বিচ্ছিন্নভাবে অল্প সংখ্যক শিক্ষক এখনও ওই অবস্থান করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এরআগে প্রেসক্লাবের সামনে বেলা সোয়া ৯টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, কয়েক দফায় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং রঙিন পানি ছোড়া হয়— এর ফলে পরিস্থিতি তড়িঘড়ি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। শিক্ষকরা দাবি করছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা কার্যকর করা, কর্মচারীদের জন্য মাসিক দেড় হাজার টাকা মেডিক্যাল ভাতা চালু এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। শিক্ষক নেতারা আরও জানিয়েছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার আগের প্রতিশ্রুতির সম্মতিতে এসব সুবিধা দ্রুত নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আন্দোলনের ব্যানারে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ আগামী মঙ্গলবার থেকে সম্ভাব্য কর্ম বিরতি ঘোষণারও ঘোষণা করেছে—যদিও শনিবারের ঘটনার পর তারা পরবর্তী কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকা ও আশপাশে শিক্ষকদের অবস্থান ও সমাবেশের ফলে যানজট ও জনদুর্ভোগ দেখা যাচ্ছিল। পুলিশ জানায়, জনস্বাস্থ্য ও যানজটের কারণে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং নিরাপত্তা ও সাধারণ জনজীবন স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
১২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম: