০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করেরহাট-নারায়ণহাটের এসিএফ হারুনের ছত্রছায়ায় ৭০ হাজার টাকায় কাঠ পাচার

  • আপডেট: ০৪:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • 48

বিশেষ প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফটিকছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের নানা প্রজাতির গাছ দিনভর কেটে রাতভর সড়ক পথে পাচারের মহোৎসব চলছে প্রতিদিন। ফটিকছড়ির ৫টি রেঞ্জ অফিসের আওতায় ১৫টি বনবিট থেকেই একযোগেই এই কাঠ পাচারের মহোৎসব চলে। পাচার হওয়া কাঠের নেই কোন কাগজপত্র। এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার সিন্ডিকেটকে প্রতি গাড়ীতে ৭০ হাজার প্রদান করলেই অবৈধ কাঠবাহী ট্রাক বিনা বাধায় নির্দিষ্ঠ স্থানে পৌছে যায়। সুত্র জানায় আজ ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরকারী ছূটিকে কাজে দিনের বেলায় পাচার হয়েছে ৩ টি অবৈধ কাঠ বোঝাই ট্রাক। সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনটি তৈরী করতে গিয়ে জানাগেছে, নারায়নহাট রেঞ্জের নারায়ণহাট বনবিট, দাঁতমারা বনবিট, বালু খালী বনবিট, ধুরুং বনবিট, হাজারীখীল রেঞ্জের বারমাসিয়া বনবিট, ফটিকছড়ি বনবিট, হাসনাবাদ রেঞ্জের হাসনাবাদ বনবিট, তারাখোঁ বনবিট, করেরহাট রেঞ্জের হেয়াকো বনবিট ও আঁধার মানিক বনবিট এর আওতাধীন বনাঞ্চলে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসিএফ এর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। করেরহাট ও নারায়নহাট এর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মৌখিক সুপারিসে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট রেঞ্জে সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই অসহনীয় দুর্নীতির মাধ্যমে বিরান ভুমিতে পরিণত করেছে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চল। বৈধ কাঠের গাড়ী আড়ালে অবৈধ কাঠের গাড়ী নির্দিষ্ঠ স্থানে পৌছে দিতে তিনি একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট বনাঞ্চলগুলোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অন্যতম প্রধান ধরন হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হতে অবৈধভাবে কাঠ সংগ্রহ ও পাচার। এর ফলে একদিকে যেমন বন উজাড় হচ্ছে, তেমনি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে, দাঁতমারা-হেঁয়াকো-রামগড়-সোনাইপুল সড়ক, দাঁতমারা-নারায়ণহাট-কাজিরহাট সড়ক, নারায়ণহাট-শ্বেতছড়া-মীরশ্বরাই সড়ক, গাড়িটানা-সাপমারা-কাজিরহাট সড়ক, কাজীরহাট-ফটিকছড়ি সড়ক, কাঞ্চনপুর-ফটিকছড়ি-লেলাং সড়ক, কাজিরহাট সড়কের উপর দিয়ে এসব কাঠ পাচার হচ্ছে করেরহাট চেকপোস্টে পেরিয়ে। প্রতিদিন অবাধে পাচার হচ্ছে বনের গাছ, ফার্নিচার ও চিরাই কাঠ। এ নিয়ে কোন ভূমিকা নেই চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের। এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের মোবাইল ফোন নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

সর্বাধিক পঠিত

ফটিকছড়িন ধর্মপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

করেরহাট-নারায়ণহাটের এসিএফ হারুনের ছত্রছায়ায় ৭০ হাজার টাকায় কাঠ পাচার

আপডেট: ০৪:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফটিকছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের নানা প্রজাতির গাছ দিনভর কেটে রাতভর সড়ক পথে পাচারের মহোৎসব চলছে প্রতিদিন। ফটিকছড়ির ৫টি রেঞ্জ অফিসের আওতায় ১৫টি বনবিট থেকেই একযোগেই এই কাঠ পাচারের মহোৎসব চলে। পাচার হওয়া কাঠের নেই কোন কাগজপত্র। এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার সিন্ডিকেটকে প্রতি গাড়ীতে ৭০ হাজার প্রদান করলেই অবৈধ কাঠবাহী ট্রাক বিনা বাধায় নির্দিষ্ঠ স্থানে পৌছে যায়। সুত্র জানায় আজ ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরকারী ছূটিকে কাজে দিনের বেলায় পাচার হয়েছে ৩ টি অবৈধ কাঠ বোঝাই ট্রাক। সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনটি তৈরী করতে গিয়ে জানাগেছে, নারায়নহাট রেঞ্জের নারায়ণহাট বনবিট, দাঁতমারা বনবিট, বালু খালী বনবিট, ধুরুং বনবিট, হাজারীখীল রেঞ্জের বারমাসিয়া বনবিট, ফটিকছড়ি বনবিট, হাসনাবাদ রেঞ্জের হাসনাবাদ বনবিট, তারাখোঁ বনবিট, করেরহাট রেঞ্জের হেয়াকো বনবিট ও আঁধার মানিক বনবিট এর আওতাধীন বনাঞ্চলে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসিএফ এর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। করেরহাট ও নারায়নহাট এর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মৌখিক সুপারিসে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট রেঞ্জে সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই অসহনীয় দুর্নীতির মাধ্যমে বিরান ভুমিতে পরিণত করেছে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চল। বৈধ কাঠের গাড়ী আড়ালে অবৈধ কাঠের গাড়ী নির্দিষ্ঠ স্থানে পৌছে দিতে তিনি একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট বনাঞ্চলগুলোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অন্যতম প্রধান ধরন হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হতে অবৈধভাবে কাঠ সংগ্রহ ও পাচার। এর ফলে একদিকে যেমন বন উজাড় হচ্ছে, তেমনি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে, দাঁতমারা-হেঁয়াকো-রামগড়-সোনাইপুল সড়ক, দাঁতমারা-নারায়ণহাট-কাজিরহাট সড়ক, নারায়ণহাট-শ্বেতছড়া-মীরশ্বরাই সড়ক, গাড়িটানা-সাপমারা-কাজিরহাট সড়ক, কাজীরহাট-ফটিকছড়ি সড়ক, কাঞ্চনপুর-ফটিকছড়ি-লেলাং সড়ক, কাজিরহাট সড়কের উপর দিয়ে এসব কাঠ পাচার হচ্ছে করেরহাট চেকপোস্টে পেরিয়ে। প্রতিদিন অবাধে পাচার হচ্ছে বনের গাছ, ফার্নিচার ও চিরাই কাঠ। এ নিয়ে কোন ভূমিকা নেই চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের। এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের মোবাইল ফোন নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।