০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিএনপির একাংশের সঙ্গে আঁতাত করে পুরনো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

দাঁতমারায় রাজনৈতিক দলবদলে বিতর্ক: মাদক ব্যবসায়ীরা এখন বিএনপির নেতা!

  • আপডেট: ০৪:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 1

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর এক রাজনৈতিক দলবদলের ঘটনা স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দেওয়া বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স এখন সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তেমনি এলাকার যুবসমাজ ও সচেতন নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক সিন্ডিকেটের অন্তত দু’জন সদস্য, যারা একসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, এখন ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের নেতা হিসেবে প্রকাশ্যে দলের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময়ে তাদের প্রভাব খাটিয়ে ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ পুরনো। এই মাদক সিন্ডিকেটটি সেই সময় এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, দাঁতমারা ইউনিয়ন কার্যত মাদকের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল এবং ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতি ও অর্থনীতি অনেকটাই ইয়াবাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হতো। উল্লেখ্য, এই মাদক সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা ও চাঁদপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই তারা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টানোয় ভিন্ন দলে ভিড়ে যান এবং নতুন পরিচয়ে পুরনো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা এই ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তারা জানান, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে এই সিন্ডিকেট একসময় অবাধে ইয়াবা কারবার চালিয়ে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে তারা এখন বিএনপির একটি অংশের সাথে হাত মিলিয়ে যুবদলের নেতা হয়ে আবারও তাদের পুরনো ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন, যা দলের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের এমন রাজনৈতিক দলবদল কেবল দলগুলোকে কলঙ্কিত করে না, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সুস্থ পরিবেশকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়। এই ঘটনা প্রমাণ করে, অপরাধীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যেকোনো রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে প্রস্তুত এবং এর মাধ্যমে সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

দাঁতমারায় রাজনৈতিক দলবদলে বিতর্ক: মাদক ব্যবসায়ীরা এখন বিএনপির নেতা!

বিএনপির একাংশের সঙ্গে আঁতাত করে পুরনো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

দাঁতমারায় রাজনৈতিক দলবদলে বিতর্ক: মাদক ব্যবসায়ীরা এখন বিএনপির নেতা!

আপডেট: ০৪:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর এক রাজনৈতিক দলবদলের ঘটনা স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দেওয়া বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স এখন সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তেমনি এলাকার যুবসমাজ ও সচেতন নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক সিন্ডিকেটের অন্তত দু’জন সদস্য, যারা একসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, এখন ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের নেতা হিসেবে প্রকাশ্যে দলের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময়ে তাদের প্রভাব খাটিয়ে ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ পুরনো। এই মাদক সিন্ডিকেটটি সেই সময় এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, দাঁতমারা ইউনিয়ন কার্যত মাদকের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল এবং ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতি ও অর্থনীতি অনেকটাই ইয়াবাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হতো। উল্লেখ্য, এই মাদক সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা ও চাঁদপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই তারা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টানোয় ভিন্ন দলে ভিড়ে যান এবং নতুন পরিচয়ে পুরনো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা এই ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তারা জানান, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে এই সিন্ডিকেট একসময় অবাধে ইয়াবা কারবার চালিয়ে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে তারা এখন বিএনপির একটি অংশের সাথে হাত মিলিয়ে যুবদলের নেতা হয়ে আবারও তাদের পুরনো ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন, যা দলের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের এমন রাজনৈতিক দলবদল কেবল দলগুলোকে কলঙ্কিত করে না, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সুস্থ পরিবেশকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়। এই ঘটনা প্রমাণ করে, অপরাধীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যেকোনো রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে প্রস্তুত এবং এর মাধ্যমে সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।