১১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় লামা যুবদল নেতাকে অমানবিক নির্যাতন

  • আপডেট: ০৫:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 57

লোহাগাড়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী শহরের ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন (৩৫) কে অপহরণ করে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে লোহাগাড়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল মোহাম্মদ ফারুকের অসুস্থ পিতা শহিদ মিয়া এ অভিযোগ করেন। শহিদ মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ ফারুকের পুত্র বান্দরবান সরকারি কলেজের ছাত্র মোঃ ফয়সাল উদ্দিন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ফারুকের বাবা অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বিল পরিশোধ করার পরপরই হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে এনসিপি লোহাগাড়ার মুখ্য সমন্বয়কারী জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮/১০ জনে তুলে নিয়ে যায়, যা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এরপর নির্জন স্থানে ফারুককে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করা হয় এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কয়েক মাস আগে এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরোধিতা সংক্রান্ত মামলা দায়েরের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণের পর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে পুলিশ তাকে উপজেলা পোস্ট অফিস সড়ক এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে ফারুক গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতনের ফলে তার শরীর থেতলে গেছে ও তার হাত ভেঙে গেছে। তার পরিবার জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, ছোটবেলা থেকে মো. ফারুক শান্তিপ্রিয় ছেলে, সে সিগারেট পর্যন্ত খায় না, সেখানে সে কীভাবে মাদকের সাথে জড়িত থাকবে আমরা এটা কোনোভাবে বিশ্বাস করি না। স্থানীয়রা আরো বলেন, তার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এরা তার সাথে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মো. ফারুক হোসেন লামা উপজেলা আজিজনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড পূর্বচাম্বি গ্রামের বাসিন্দা শহিদ মিয়ার ছেলে। ফারুক হোসেন পূর্বচাম্বি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত এনসিপির লোহাগাড়া মুখ্য সমন্বয়ক জহির উদ্দিন অপহরণ ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি যখন মাদকের বিষয়ে জানতে পেরেছি তখনই পুলিশকে অবহিত করি। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি দাবি করছি। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ৯৯৯ কল পাওয়ার পর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় লামা যুবদল নেতাকে অমানবিক নির্যাতন

আপডেট: ০৫:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লোহাগাড়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী শহরের ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন (৩৫) কে অপহরণ করে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে লোহাগাড়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল মোহাম্মদ ফারুকের অসুস্থ পিতা শহিদ মিয়া এ অভিযোগ করেন। শহিদ মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ ফারুকের পুত্র বান্দরবান সরকারি কলেজের ছাত্র মোঃ ফয়সাল উদ্দিন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ফারুকের বাবা অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বিল পরিশোধ করার পরপরই হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে এনসিপি লোহাগাড়ার মুখ্য সমন্বয়কারী জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮/১০ জনে তুলে নিয়ে যায়, যা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এরপর নির্জন স্থানে ফারুককে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করা হয় এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কয়েক মাস আগে এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরোধিতা সংক্রান্ত মামলা দায়েরের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণের পর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে পুলিশ তাকে উপজেলা পোস্ট অফিস সড়ক এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে ফারুক গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতনের ফলে তার শরীর থেতলে গেছে ও তার হাত ভেঙে গেছে। তার পরিবার জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, ছোটবেলা থেকে মো. ফারুক শান্তিপ্রিয় ছেলে, সে সিগারেট পর্যন্ত খায় না, সেখানে সে কীভাবে মাদকের সাথে জড়িত থাকবে আমরা এটা কোনোভাবে বিশ্বাস করি না। স্থানীয়রা আরো বলেন, তার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এরা তার সাথে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মো. ফারুক হোসেন লামা উপজেলা আজিজনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড পূর্বচাম্বি গ্রামের বাসিন্দা শহিদ মিয়ার ছেলে। ফারুক হোসেন পূর্বচাম্বি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত এনসিপির লোহাগাড়া মুখ্য সমন্বয়ক জহির উদ্দিন অপহরণ ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি যখন মাদকের বিষয়ে জানতে পেরেছি তখনই পুলিশকে অবহিত করি। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি দাবি করছি। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ৯৯৯ কল পাওয়ার পর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।