আহসান হাবিব, পঞ্চগড়: ফের ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়। তাপমাত্রা পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে। এ অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ২৪ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একদিন সূর্য দেখার পর আবার ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলা। কুয়াশার সঙ্গে শিশির ও হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়োজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে। ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুদিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে তিন দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।
এদিকে, শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে। চিকিৎকরা জানান, শীতে হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।