Dhaka ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরফ্যাশনে বিলুপ্তির পথে যৌথ পরিবারের বন্ধন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • 44

মোঃ সিরাজুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি : এক সময় গ্রাম বা শহরে অনেক যৌথ পরিবার দেখা যেত। মানুষের পুকুরভরা মাছ ছিল, ক্ষেতজুড়ে ধান ছিল, গোয়ালভরা গাভি ছিল। যৌথ পরিবারে অনেক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। অবস্থাভেদে প্রতিটি পরিবারে সদস্য ছিল ১০ থেকে ১৫ জন। কোথাও বা এর চেয়ে বেশি। পরিবারের কর্তার আদেশ মেনে চলত সবাই। পৃথিবী যত এগিয়ে যাচ্ছে, যৌথ পরিবার তত কমে যাচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসেছে যৌথ পরিবার।

কালের বিবর্তণে যৌথ পরিবার বিলীন হওয়ার পথে। সবকটি যৌথ পরিবার ভেঙ্গে গিয়ে স্বামী, স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে গড়ে উঠছে একক পরিবার। জীবন ও জীবিকার তাগিদে দিন দিন ছোট হচ্ছে পরিবারের আকার। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল, ভবিষ্যৎ সঞ্চয়, চাকুরির বা ব্যবসাসহ নানা প্রয়োজনের জন্য বাড়ছে একক পরিবারের সংখ্যা এমনটা মনে করছেন সুশীল সমাজ। তবে, যৌথ পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আরো অনেকেই। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার হওয়া ৬০ বছর বয়সের ছলেমা খাতুন বলেন , ২০-২৫ জন নিয়ে ছিলো আগের সেই যৌথ পরিবার। সে সময় গুলোতে ছিলো শান্তি আর হাসি-খুশিতে ভরপুর। এখন সেই আনন্দ গুলো নেই বললেই চলে। এদিকে লিমা বেগম বলেন, ছোট পরিবার থেকে বড় পরিবারে বিয়ে হয়েছে, যেখানে রয়েছে প্রতিনিয়ত আনন্দ আর উল্লাস। যা একক পরিবার গুলোতে পাওয়া যায় না। এর মধ্য দিয়ে সন্তান যেমন সকলের আদরে বেড়ে ওঠে, তেমনি তাদের মধ্যে মানবিক ও সামজিক মূল্যবোধও তৈরী হয়। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে একসময় যৌথ পরিবার বেশী থাকলেও দিন দিন তা কমছে। বিশেষ করে শহরে বাড়ছে একক পরিবারের সংখ্যা।

এমনকি প্রত্যন্ত উপকূলীয় জনপদেও একই চিত্র। যদিও একসময় দাদা-দাদি ও চাচা-চাচিসহ বাবা-মা’কে নিয়ে এক হাড়িতে চলতো রান্না-বান্না। নানা বাস্তবতা ও প্রতিকূলতায় এমন দৃশ্য এখন কমই চোখে পড়ে। চরফ্যাশন উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে আগের মতো যৌথ পরিবারের সাংসারিক জীবন যাপন করতে দেখা যায় না। স্মার্ট যুগের মেয়েরা যৌথ পরিবারের সাংসারিক জীবন যাপন পরিহার করে একক সংসারে মনোযোগী হচ্ছে বলে সচেতন মহলের ধারণা।

Tag :

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

চরফ্যাশনে বিলুপ্তির পথে যৌথ পরিবারের বন্ধন

Update Time : ০৩:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

মোঃ সিরাজুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি : এক সময় গ্রাম বা শহরে অনেক যৌথ পরিবার দেখা যেত। মানুষের পুকুরভরা মাছ ছিল, ক্ষেতজুড়ে ধান ছিল, গোয়ালভরা গাভি ছিল। যৌথ পরিবারে অনেক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। অবস্থাভেদে প্রতিটি পরিবারে সদস্য ছিল ১০ থেকে ১৫ জন। কোথাও বা এর চেয়ে বেশি। পরিবারের কর্তার আদেশ মেনে চলত সবাই। পৃথিবী যত এগিয়ে যাচ্ছে, যৌথ পরিবার তত কমে যাচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসেছে যৌথ পরিবার।

কালের বিবর্তণে যৌথ পরিবার বিলীন হওয়ার পথে। সবকটি যৌথ পরিবার ভেঙ্গে গিয়ে স্বামী, স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে গড়ে উঠছে একক পরিবার। জীবন ও জীবিকার তাগিদে দিন দিন ছোট হচ্ছে পরিবারের আকার। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল, ভবিষ্যৎ সঞ্চয়, চাকুরির বা ব্যবসাসহ নানা প্রয়োজনের জন্য বাড়ছে একক পরিবারের সংখ্যা এমনটা মনে করছেন সুশীল সমাজ। তবে, যৌথ পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আরো অনেকেই। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার হওয়া ৬০ বছর বয়সের ছলেমা খাতুন বলেন , ২০-২৫ জন নিয়ে ছিলো আগের সেই যৌথ পরিবার। সে সময় গুলোতে ছিলো শান্তি আর হাসি-খুশিতে ভরপুর। এখন সেই আনন্দ গুলো নেই বললেই চলে। এদিকে লিমা বেগম বলেন, ছোট পরিবার থেকে বড় পরিবারে বিয়ে হয়েছে, যেখানে রয়েছে প্রতিনিয়ত আনন্দ আর উল্লাস। যা একক পরিবার গুলোতে পাওয়া যায় না। এর মধ্য দিয়ে সন্তান যেমন সকলের আদরে বেড়ে ওঠে, তেমনি তাদের মধ্যে মানবিক ও সামজিক মূল্যবোধও তৈরী হয়। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে একসময় যৌথ পরিবার বেশী থাকলেও দিন দিন তা কমছে। বিশেষ করে শহরে বাড়ছে একক পরিবারের সংখ্যা।

এমনকি প্রত্যন্ত উপকূলীয় জনপদেও একই চিত্র। যদিও একসময় দাদা-দাদি ও চাচা-চাচিসহ বাবা-মা’কে নিয়ে এক হাড়িতে চলতো রান্না-বান্না। নানা বাস্তবতা ও প্রতিকূলতায় এমন দৃশ্য এখন কমই চোখে পড়ে। চরফ্যাশন উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে আগের মতো যৌথ পরিবারের সাংসারিক জীবন যাপন করতে দেখা যায় না। স্মার্ট যুগের মেয়েরা যৌথ পরিবারের সাংসারিক জীবন যাপন পরিহার করে একক সংসারে মনোযোগী হচ্ছে বলে সচেতন মহলের ধারণা।