বিনোদন ডেস্ক : দুই মা-হারা শিশুর যন্ত্রণা থেকে ঢুকরে কেঁদে উঠেছে চিত্রনায়িকা পরীমনির মন। তাই এগিয়ে এসে দুই অসহায় শিশু মরিময় ও নূরের দায়িত্ব নিতে চান পরীমনি। শরীফুল রাজের সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে গত কয়েকমাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে পরীমনি। সদ্যই ১১ মাসের শিশুপুত্র রাজ্য অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালেই কেটেছে পরীমনির দিন-রাত। ছেলে কোলে দু-দিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন পরীমনি।
সম্প্রতি দেশের সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে বরিশালের দুই শিশু। ২০২১ সালে আত্মহত্যা করে নূর ও মরিময়ের মা। বাবা, রনি সিকদার ফিরোজ পেশায় রিকশা চালক। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। পেট চালানোর তাগিদে প্রতিদিন সকালে দুই সন্তানকে বাড়িতে তালাবন্ধ করে কাজে বেরোন তিনি। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে এমনিভাবে কাটছে নূর ও মরিময়ের দিন। সকালে ছেলেমেয়েকে খাবার খাইয়ে বার হন ফিরোজ, দুপুরে এসে বাচ্চাদের দু-মুঠো খেতে দিয়ে ফের বেরিয়ে যান, সেই রাতে ঘরে ফেরা। মরিয়মের বয়স তিন, দু বছর পূর্ণ হয়নি নূরের। এই খবর সামনে আসতেই ফিরোজকে আর্থিক সহায়তা করেন এক সহৃদয় ব্যক্তি। উপহার দেন চার্জার রিকশা।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামানও আশ্বাস দেন সাহায্যের। কিন্তু দুই শিশুর উপযুক্ত লালন-পালনের কী হবে? বর্তমানে নারী বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দিবাযত্ন কেন্দ্র এই দুই দুধের শিশুর দেখভাল করছে। এবার শিশু মরিয়ম ও নূরের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী পরীমনি। এক স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার কথা জানান পরীমনি। এ খবর সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে পরীমনির ব্যক্তিগত সহকারী দিপু।
জানা গেছে শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, মা-হারা দুই শিশুর দেখভাল নিজেই করতে চান পরীমনি। শিগগিরই এ ব্যপারে মরিয়াম ও নূরের বাবা ফিরোজের সঙ্গে কথা বলবেন পরিমনি। শৈশবে মা-বাবা’কে হারিয়েছিলেন পরীমনি। অনাথ হওয়ার যন্ত্রণা ভালোভাবেই জানেন তিনি। রাজ্যর সঙ্গে একসাথে বড় হোক মরিময় ও নূর, ইচ্ছে পরীমনির।