তপন তালুকদার : চট্টগ্রাম -১২ (পটিয়া) আসনটি চট্টগ্রাম শহরের নিকটবর্তী শিক্ষা ও ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর তালিকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে পর পর তিনবার নির্বাচিত এমপি শামসুল হক চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন।
বিগত পনের বছরে পটিয়ায় নজিরবিহীন উন্নয়নে এমপি সামশুল হক চৌধুরীর অগ্রণী ভূমিকার কারণে আবারো তাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী তুলেছেন পটিয়া আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা। পটিয়ার উন্নয়ন চলমান রাখতে শামশুল হক চৌধুরীর বিকল্প নেই বলছেন সাধারণ জনগন। কারণ শামসুল হক চৌধুরীকে অপ্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী মনে করছেন পটিয়াবাসী। জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে তিন মেয়াদে এ আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবেই খুব পরিচিত ছিল।
দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মো. সামশুল হক চৌধুরী বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিএনপি জামাতের ঘাটি থেকে আসনটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন তিনি। ফলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটিয়ার তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে বেড়ে ওঠা শামসুল হক চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আবারো মনোনীত করা হোক।
আওয়ামী লীগের সফল সংসদ সদস্য হিসেবে পটিয়ার তৃণমূলে বেশ গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রাম জেলা থেকে প্রথম হুইপের দায়িত্ব পান সামশুল হক চৌধুরী । চট্টগ্রাম-১২ আসন (পটিয়া) থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য এর আগে নৌ পরিবহন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। এরপর বিগত নবম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পটিয়ার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সামশুল হক চৌধুরী ১৯৫৭ সালের ২০ জুলাই পটিয়ার রশিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন।
ওই কলেজ থেকে তিনি বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এই ক্রীড়া সংগঠক। ঢাকার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পৃষ্ঠপোষক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য, চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সদস্য, এশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র বাংলাদেশ শাখার সভাপতি এবং চট্টগ্রাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।