Dhaka ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ১০ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত, মোখায় লণ্ডভন্ড সেন্টমার্টিন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • 2325

স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে এটি কক্সবাজার উপকুলে আঘাত হানে, ঝড়ো হাওয়ায় সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সাবরাং এলাকায় গাছ পালা উপড়ে যায়। ক্রমান্বয়ে বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে। বাতাসের তীব্রতা সন্ধ্যা নাগাদ চলে। তবে সাগরে মরা কটাল (ভাটা) থাকায় জলোচ্ছ¡াসের সৃষ্টি হয়নি। ১৪ মে রবিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় ১০ হাজার কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১,২০০ কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, “আজ সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কমতে শুরু করে। তবে আগামী দুইদিন সাগর উত্তাল এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী উপকূলের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বজনদের বাসা বাড়িতে দুই লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এসব মানুষ সংকেত কমে এলে বাড়িতে ফিরবেন। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগে থেকে কক্সবাজার জেলায় সিসিপির আট হাজার ৬০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত ছিলেন। সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। এই স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়। এছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়, যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়। জেলায় যে ৬৩৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেগুলোতে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৯৯০ জন মানুষ থাকতে পারবে। শনিবার সকাল থেকে মেডিকেল দল, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত গ্রহণ করার জন্য বলা হয়।

Tag :

কক্সবাজারে ১০ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত, মোখায় লণ্ডভন্ড সেন্টমার্টিন

Update Time : ০৪:৫৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে এটি কক্সবাজার উপকুলে আঘাত হানে, ঝড়ো হাওয়ায় সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সাবরাং এলাকায় গাছ পালা উপড়ে যায়। ক্রমান্বয়ে বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে। বাতাসের তীব্রতা সন্ধ্যা নাগাদ চলে। তবে সাগরে মরা কটাল (ভাটা) থাকায় জলোচ্ছ¡াসের সৃষ্টি হয়নি। ১৪ মে রবিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় ১০ হাজার কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১,২০০ কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, “আজ সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কমতে শুরু করে। তবে আগামী দুইদিন সাগর উত্তাল এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী উপকূলের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বজনদের বাসা বাড়িতে দুই লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এসব মানুষ সংকেত কমে এলে বাড়িতে ফিরবেন। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগে থেকে কক্সবাজার জেলায় সিসিপির আট হাজার ৬০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত ছিলেন। সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। এই স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়। এছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়, যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়। জেলায় যে ৬৩৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেগুলোতে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৯৯০ জন মানুষ থাকতে পারবে। শনিবার সকাল থেকে মেডিকেল দল, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত গ্রহণ করার জন্য বলা হয়।