Dhaka ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূজপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো : স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি আলী আকবরকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি আলী আকবরকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। আলী আকবর ফটিকছড়ির ডলু আরলিয়া গ্রামের মৃত হাচি মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ২০১৬ সালে ২০ জানুয়ারি ভূজপুর থানাধীন বাদুরখিল এলাকার একটি খামার বাড়ির গাছের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আলী আকবরকে আসামি করা হয়। ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ১৯ মার্চ পলাতক আকবরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তিনি আরও জানান, বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভূজপুরের ওই তরুণীকে বিয়ে করেন আকবর। তবে সেই বিয়ের কাগজপত্র ছিল ভুয়া। বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে আকবর তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দেন। দুই মাস পর ওই তরুণী বাবার বাড়িতে গিয়ে স্বামীর জন্য যৌতুকের টাকা চায়। কিন্তু কৃষক বাবা টাকা দিতে পারেননি।

২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ভূজপুর থানার বাদুরখীল পাহাড়ি এলাকায় খামার বাড়ির পাশে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে আকবর বিগত সাত বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনামে পালিয়ে বেড়িয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন

ভূজপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

Update Time : ০৯:৩৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো : স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি আলী আকবরকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি আলী আকবরকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। আলী আকবর ফটিকছড়ির ডলু আরলিয়া গ্রামের মৃত হাচি মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ২০১৬ সালে ২০ জানুয়ারি ভূজপুর থানাধীন বাদুরখিল এলাকার একটি খামার বাড়ির গাছের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আলী আকবরকে আসামি করা হয়। ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ১৯ মার্চ পলাতক আকবরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তিনি আরও জানান, বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভূজপুরের ওই তরুণীকে বিয়ে করেন আকবর। তবে সেই বিয়ের কাগজপত্র ছিল ভুয়া। বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে আকবর তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দেন। দুই মাস পর ওই তরুণী বাবার বাড়িতে গিয়ে স্বামীর জন্য যৌতুকের টাকা চায়। কিন্তু কৃষক বাবা টাকা দিতে পারেননি।

২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ভূজপুর থানার বাদুরখীল পাহাড়ি এলাকায় খামার বাড়ির পাশে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে আকবর বিগত সাত বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনামে পালিয়ে বেড়িয়েছে।