Dhaka ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের বাজারে সবজির সংকট না থাকলেও দাম চড়া

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • 53069

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো : তাপমাত্রা ৪০ পার করে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। সেই সঙ্গে ফসল ফলাদির মাঠও। শীতের সবজি উঠে যাওয়ার পর বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজিতে সয়লাব। তবে দাম বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এদিকে পাইকারিতে কমলেও খুচরায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতেও বেড়েছে ২০ টাকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী বাজার, বহদ্দারহাট কাচা বাজার, চকবাজার, অক্সিজেন কাচা বাজার, সহ বেশ কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সবজি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ঢেড়শ ৮০/৯০ টাকা, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লাউ ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চড়েছে কাকরোলের দাম। পণ্যটি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তাছাড়া প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা ও বরবটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কর্ণফুলী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শফি বলেন, বাজারে শীতের সবজি নেই। গ্রীষ্মকালীন সবজি যা আছে, ৬০ টাকার নিচে সবজি নেই বললেই চলে। প্রচন্ড গরমে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। তাই সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম এখন চড়া। কখন দাম ক্রেতার নাগালে আসবে সেটাও এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এদিকে চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খোজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে এখন চিনির দাম কমতির দিকে রয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) চিনি ৪ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩ হাজার ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গত ৬ এপ্রিল খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১০৪ ও প্যাকেট চিনি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। অথচ বর্তমানে যে কোন খুচরা দোকানেই চিনি মিলছে ১২০ টাকা কেজিতে। এদিকে আবারো বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। গতসপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া আকারভেদে ১৬০ থেকে ২৪০, পাঙ্গাস ২২০, পাবদা ৪৫০, চাষের কৈ ২৮০ থেকে ৩শ, শিং ৪৫০, শোল ৫৫০ থেকে ৬শ, চিংড়ি আকারভেদে ৬শ থেকে ৭শ, কাতলা ২৮০ থেকে ৩শ ও রুই ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা ৬০, প্যাকেট আটা ৬৫, দেশি মসুরের ডাল কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, ছোলা মানভেদে ৮০ থেকে ৯০, মুগ ডাল ১১৫, বেসন ৭৫, চিড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪০, দেশি রসুন ১১০ থেকে ১২০, আমদানি করা রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশান সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ কে কাজে লাগাই।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গত ১৬ বছরে সব রকমভাবে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রামের বাজারে সবজির সংকট না থাকলেও দাম চড়া

Update Time : ১১:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো : তাপমাত্রা ৪০ পার করে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। সেই সঙ্গে ফসল ফলাদির মাঠও। শীতের সবজি উঠে যাওয়ার পর বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজিতে সয়লাব। তবে দাম বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এদিকে পাইকারিতে কমলেও খুচরায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতেও বেড়েছে ২০ টাকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী বাজার, বহদ্দারহাট কাচা বাজার, চকবাজার, অক্সিজেন কাচা বাজার, সহ বেশ কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সবজি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ঢেড়শ ৮০/৯০ টাকা, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লাউ ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চড়েছে কাকরোলের দাম। পণ্যটি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তাছাড়া প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা ও বরবটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কর্ণফুলী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শফি বলেন, বাজারে শীতের সবজি নেই। গ্রীষ্মকালীন সবজি যা আছে, ৬০ টাকার নিচে সবজি নেই বললেই চলে। প্রচন্ড গরমে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। তাই সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম এখন চড়া। কখন দাম ক্রেতার নাগালে আসবে সেটাও এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এদিকে চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খোজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে এখন চিনির দাম কমতির দিকে রয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) চিনি ৪ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩ হাজার ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গত ৬ এপ্রিল খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১০৪ ও প্যাকেট চিনি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। অথচ বর্তমানে যে কোন খুচরা দোকানেই চিনি মিলছে ১২০ টাকা কেজিতে। এদিকে আবারো বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। গতসপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া আকারভেদে ১৬০ থেকে ২৪০, পাঙ্গাস ২২০, পাবদা ৪৫০, চাষের কৈ ২৮০ থেকে ৩শ, শিং ৪৫০, শোল ৫৫০ থেকে ৬শ, চিংড়ি আকারভেদে ৬শ থেকে ৭শ, কাতলা ২৮০ থেকে ৩শ ও রুই ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা ৬০, প্যাকেট আটা ৬৫, দেশি মসুরের ডাল কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, ছোলা মানভেদে ৮০ থেকে ৯০, মুগ ডাল ১১৫, বেসন ৭৫, চিড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪০, দেশি রসুন ১১০ থেকে ১২০, আমদানি করা রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশান সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ কে কাজে লাগাই।