বিশেষ প্রতিবেদক : ফটিকছড়ি ২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কর্নেল (অব:) আজিম উল্লাহ বাহার বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে আলোচিত একটি নাম। কিন্তু তাঁর সাথে এক বিতর্কিত ব্যক্তির কথা উঠলে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হলেন ফটিকছড়ি উপজেলার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের কসাই কবিরের। তাঁর অতীত কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন হিসেবে স্থানীয়ভাবে তাঁকে কসাই কবির বলে ডাকেন। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ঠের পর থেকে কবির বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ও যুবদলকে শক্তিশালী করার নামে ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নে চাঁজাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দখল বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, নিজ দলের একাধিক রাজনৈতিক কর্মীকে চাঁদার দাবীতে হামলা করে গেছেন। এমনকি চাঁজাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনার মামলাও রয়েছে সংশ্লিষ্ঠ ভূজপুর থানায়। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে “বিষফোড়া” হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকার সাধারণ পান দোকানদার পর্যন্ত তাকে চাঁদা দিতে হয়। তবে একদল সমর্থক তাঁকে ‘রাজনৈতিক সংগ্রামী’ হিসেবেও শ্রদ্ধা জানায়, যাঁর নেতৃত্বে যুবদল সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে বলে তারা মনে করেন। আজিম উল্লাহ বাহারের সাথে এই ক্যাডারের সম্পর্ক স্থানীয় রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই বিতর্ক সৃষ্টি করে আসছে। এদিকে, স্থানীয়রা মনে করছেন যে, আগামী নির্বাচনে আজিম উল্লাহ বাহার যদি প্রার্থী হন, তবে কসাই কবিরের ঘনিষ্ঠতা জনগণের কাছে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অস্বাভাবিক সম্পর্ক যদি সামনে আসে, তবে তা ফটিকছড়ি ২ আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম: