০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুইমারা রামেসু বাজারে সংঘর্ষ ও গুলিতে ৩ জন নিহত

  • আপডেট: ০৮:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 35

সূর্যোদয় ডেস্ক : গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতার’ ব্যানারে অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত তিন জন নিহত হওয়ার তথ্য সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর অবরোধ চলাকালে দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ বলেন, সংঘর্ষের সময় গুইমারায় গুলিতে তিন জন নিহতের খবর পেয়েছি আমরা। তাদের লাশ খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালের মর্গে আছে। তবে তারা কার গুলিতে কীভাবে মারা গেছেন, বিস্তারিত জানা যায়নি। এ ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাবের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুইমারা থেকে তিন জনের লাশ এসেছে খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে। তারা যুবক। লাশগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে। হাসপাতালে আরও চার জন চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে দুপুর ১টার দিকে গুইমারার রামেসু বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অবরোধকারীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সড়ক অবরোধ করলে তাতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অবরোধকারীরা খাদ্যগুদামের সামনের সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর গুলি করেন। গুলির পরপরই লোকজন ভয়ে দিগবিদিক পালিয়ে যান। এরপর ২০-২৫ জন লোক এসে রামেসু বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব লোকের সঙ্গে মুখোশ পরা লোকও ছিল। দোকানপাট ও বসতবাড়ির সঙ্গে অনেকগুলো মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে গুইমারার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত এবং মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, তিন পুলিশ সদস্যসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে এবং সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত

ফটিকছড়িন ধর্মপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গুইমারা রামেসু বাজারে সংঘর্ষ ও গুলিতে ৩ জন নিহত

আপডেট: ০৮:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সূর্যোদয় ডেস্ক : গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতার’ ব্যানারে অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত তিন জন নিহত হওয়ার তথ্য সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর অবরোধ চলাকালে দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ বলেন, সংঘর্ষের সময় গুইমারায় গুলিতে তিন জন নিহতের খবর পেয়েছি আমরা। তাদের লাশ খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালের মর্গে আছে। তবে তারা কার গুলিতে কীভাবে মারা গেছেন, বিস্তারিত জানা যায়নি। এ ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাবের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুইমারা থেকে তিন জনের লাশ এসেছে খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে। তারা যুবক। লাশগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে। হাসপাতালে আরও চার জন চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে দুপুর ১টার দিকে গুইমারার রামেসু বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অবরোধকারীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সড়ক অবরোধ করলে তাতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অবরোধকারীরা খাদ্যগুদামের সামনের সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর গুলি করেন। গুলির পরপরই লোকজন ভয়ে দিগবিদিক পালিয়ে যান। এরপর ২০-২৫ জন লোক এসে রামেসু বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব লোকের সঙ্গে মুখোশ পরা লোকও ছিল। দোকানপাট ও বসতবাড়ির সঙ্গে অনেকগুলো মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে গুইমারার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত এবং মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, তিন পুলিশ সদস্যসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে এবং সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।