০৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট

  • আপডেট: ০২:৪২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 3

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পাহাড় কেটে বিশাল এক পুকুর ভরাটের অভিযোগ ওঠেছে। এতে ওই এলাকার পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে। এছাড়াও আসছে বর্ষায় এলাকাটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে বলে জানিয়েছে ওই এলাকার সচেতন মহল। জানা গেছে, উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার থেকে রাঙ্গাপানি চা-বাগানে যাওয়ার পথে হাতের ডানে ৩০০ ফুট গেলেই বিশাল এক পাহাড়। সেখানে একাধিক এক্সকেভেটর ব্যবহার করে শ্রমিক দিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকটা কেটে সাবাড়ও করে ফেলেছেন। অুনমতি ছাড়াই ইউপি ভবন সম্প্রসারণের নামে পাহাড়টি কেটে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৪ (১) ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তর যদি মনে করেন কোনো কার্যক্রম পরিবেশ বিধ্বংসী, সেক্ষেত্রে যেকোনো কার্যক্রমকে নিষেধ করতে পারবেন। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট অপেক্ষাকৃত উচু পাহাড়-টিলা জায়গা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অন্যদিকে, পানির উৎস জলাধার-পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোন অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাট করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানি না। এমনটি হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য অধিদফতরের কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

সর্বাধিক পঠিত

ভারতের গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতার

ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট

আপডেট: ০২:৪২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পাহাড় কেটে বিশাল এক পুকুর ভরাটের অভিযোগ ওঠেছে। এতে ওই এলাকার পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে। এছাড়াও আসছে বর্ষায় এলাকাটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে বলে জানিয়েছে ওই এলাকার সচেতন মহল। জানা গেছে, উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার থেকে রাঙ্গাপানি চা-বাগানে যাওয়ার পথে হাতের ডানে ৩০০ ফুট গেলেই বিশাল এক পাহাড়। সেখানে একাধিক এক্সকেভেটর ব্যবহার করে শ্রমিক দিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকটা কেটে সাবাড়ও করে ফেলেছেন। অুনমতি ছাড়াই ইউপি ভবন সম্প্রসারণের নামে পাহাড়টি কেটে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৪ (১) ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তর যদি মনে করেন কোনো কার্যক্রম পরিবেশ বিধ্বংসী, সেক্ষেত্রে যেকোনো কার্যক্রমকে নিষেধ করতে পারবেন। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট অপেক্ষাকৃত উচু পাহাড়-টিলা জায়গা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অন্যদিকে, পানির উৎস জলাধার-পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোন অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাট করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানি না। এমনটি হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য অধিদফতরের কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।