Dhaka ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পালিয়েছে চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তাকারী জামায়াত- শিবিরের সমর্থরা

  • আপডেট: ১১:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 30

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে তাদের থাকার সম্ভাব্য সকল ঠিকানা। ঘটনার একদিন পর সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক না করা গেলেও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
গতকাল ২২ ডিসেম্বর রবিবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন একদল লোক। রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। পুলিশ, স্থানীয় জনতা, ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত মূল দুজন হলেন কুলিয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে আবুল হাশেম ও শফিকুর রহমানের ছেলে ওহিদুর রহমান। এ ছাড়া বাকিরা হলেন পেয়ার আহমেদ, রাসেল, শহীদ, এমরান হোসেন, ফরহান হোসেন, কামরান হোসেনসহ কয়েকজন। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বিপ্লব বলেন, ‘যারা এ কাজ করেছে তারা সবাই স্থানীয় জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি করেন। ভিডিওতে তাদের সবাইকে স্পষ্ট দেখা গেছে। জুতার মালা পরানোর পর যে দুজন বাবার দুই হাত ধরে টানাহেঁচড়া করেছেন তারা হলেন, কুলিয়ারা গ্রামের আবুল হাশেম মজুমদার ও ওহিদুর রহমান। তারা জামায়াতের সমর্থক। এ সময় তাদের সঙ্গে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন ছিলেন। আবুল হাশেম ও ওহিদুরের সঙ্গে ছিলেন পেয়ার আহমেদ, রাসেল, শহীদ, এমরান হোসেন, ফরহান হোসেন, কামরান হোসেনসহ কয়েকজন। তারা স্থানীয় জামায়াত ও শিবিরের কর্মী-সমর্থক। ঘটনার পর থেকে জড়িত কাউকেই এলাকায় দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু বাজার করতে বের হন। এ সময় তাকে স্থানীয় কয়েকজন ধরে নিয়ে যায় কুলিয়ারা হাইস্কুলের সামনে। সেখানে তার গলায় জুতার মালা পরায় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেই সঙ্গে পালিয়েছেন ঘটনায় জড়িতরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সর্বাধিক পঠিত

পালিয়েছে চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তাকারী জামায়াত- শিবিরের সমর্থরা

আপডেট: ১১:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে তাদের থাকার সম্ভাব্য সকল ঠিকানা। ঘটনার একদিন পর সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক না করা গেলেও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
গতকাল ২২ ডিসেম্বর রবিবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন একদল লোক। রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। পুলিশ, স্থানীয় জনতা, ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত মূল দুজন হলেন কুলিয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে আবুল হাশেম ও শফিকুর রহমানের ছেলে ওহিদুর রহমান। এ ছাড়া বাকিরা হলেন পেয়ার আহমেদ, রাসেল, শহীদ, এমরান হোসেন, ফরহান হোসেন, কামরান হোসেনসহ কয়েকজন। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বিপ্লব বলেন, ‘যারা এ কাজ করেছে তারা সবাই স্থানীয় জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি করেন। ভিডিওতে তাদের সবাইকে স্পষ্ট দেখা গেছে। জুতার মালা পরানোর পর যে দুজন বাবার দুই হাত ধরে টানাহেঁচড়া করেছেন তারা হলেন, কুলিয়ারা গ্রামের আবুল হাশেম মজুমদার ও ওহিদুর রহমান। তারা জামায়াতের সমর্থক। এ সময় তাদের সঙ্গে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন ছিলেন। আবুল হাশেম ও ওহিদুরের সঙ্গে ছিলেন পেয়ার আহমেদ, রাসেল, শহীদ, এমরান হোসেন, ফরহান হোসেন, কামরান হোসেনসহ কয়েকজন। তারা স্থানীয় জামায়াত ও শিবিরের কর্মী-সমর্থক। ঘটনার পর থেকে জড়িত কাউকেই এলাকায় দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু বাজার করতে বের হন। এ সময় তাকে স্থানীয় কয়েকজন ধরে নিয়ে যায় কুলিয়ারা হাইস্কুলের সামনে। সেখানে তার গলায় জুতার মালা পরায় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেই সঙ্গে পালিয়েছেন ঘটনায় জড়িতরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।