Dhaka ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফটিকছড়ির দাঁতমারায় থামছে না লাল মাটি কাটার মহোৎসব

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : ফটিকছড়ির দাঁতমারা বিট ও নারায়নহাট রেঞ্জ অফিসের ছত্রছায়ায় দিন রাত একযোগে চলছে লাল মাটি কাটার মহোৎসব। এসকেভেটর ও মাটি নেয়ার ড্রাম ট্রাক চলাচলের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা। সরজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে এক-তৃতীয়াংশজুড়ে রয়েছে বিশাল পাহাড়ি বনাঞ্চল। নারায়নহাট রেঞ্জের আওতায় দাঁতমারা বিটের রত্নপুরে বন বিভাগের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে লাল মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। নারায়নহাট রেঞ্জ অফিসের দাঁতমারা বিটের রত্নপুর এলাকায় বনবিভাগের টিলায় ভেকু দিয়ে দিন রাত একযোগে চলছে লাল মাটি কাটা। সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানে প্রায় ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। দাঁতমারা ইউনিয়নের রত্নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন রুহুল আমিনের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী এয়াকুব ও তার সহযোগী দীর্ঘদিন থেকে লাল মাটি কেটে দেদার বিক্রি করে আসছে। এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাটি কাটার মামলা থাকার পরও বন বিভাগ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ট্রাক দিয়ে মাটি নেয়ার সময় গ্রামীণ জনপদ এবং পাকা রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার ধুলায় পাশে থাকা ফসলের মধ্যে প্রলেপ পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ধুলা ঢুকছে দোকানপাটসহ বসতবাড়িতে। মুলত এখানে চলছে এয়াকুবের নেতৃত্বে এখন মাটিখেকোদের রাজত্ব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, দাঁতমারা বিট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও নারায়নহাট রেঞ্জে অফিসার আনিসুর রহমানকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তাদের ছত্রছায়ায় দিন রাত একযোগে লাল মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সুত্র জানায়, মূলত দাঁতমারা বিট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও নারায়নহাট রেঞ্জে অফিসার আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে লাল মাটি কাটা ও বনের কাঠ পাচারে সহযোগিতা প্রদানে ঘুষ বাণিজ্য ওপেন। এব্যাপারে কথা বলতে দাঁতমারা বিট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহিমকে বার বার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন

ফটিকছড়ির দাঁতমারায় থামছে না লাল মাটি কাটার মহোৎসব

Update Time : ১২:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : ফটিকছড়ির দাঁতমারা বিট ও নারায়নহাট রেঞ্জ অফিসের ছত্রছায়ায় দিন রাত একযোগে চলছে লাল মাটি কাটার মহোৎসব। এসকেভেটর ও মাটি নেয়ার ড্রাম ট্রাক চলাচলের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা। সরজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে এক-তৃতীয়াংশজুড়ে রয়েছে বিশাল পাহাড়ি বনাঞ্চল। নারায়নহাট রেঞ্জের আওতায় দাঁতমারা বিটের রত্নপুরে বন বিভাগের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে লাল মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। নারায়নহাট রেঞ্জ অফিসের দাঁতমারা বিটের রত্নপুর এলাকায় বনবিভাগের টিলায় ভেকু দিয়ে দিন রাত একযোগে চলছে লাল মাটি কাটা। সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানে প্রায় ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। দাঁতমারা ইউনিয়নের রত্নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন রুহুল আমিনের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী এয়াকুব ও তার সহযোগী দীর্ঘদিন থেকে লাল মাটি কেটে দেদার বিক্রি করে আসছে। এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাটি কাটার মামলা থাকার পরও বন বিভাগ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ট্রাক দিয়ে মাটি নেয়ার সময় গ্রামীণ জনপদ এবং পাকা রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার ধুলায় পাশে থাকা ফসলের মধ্যে প্রলেপ পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ধুলা ঢুকছে দোকানপাটসহ বসতবাড়িতে। মুলত এখানে চলছে এয়াকুবের নেতৃত্বে এখন মাটিখেকোদের রাজত্ব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, দাঁতমারা বিট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও নারায়নহাট রেঞ্জে অফিসার আনিসুর রহমানকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তাদের ছত্রছায়ায় দিন রাত একযোগে লাল মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সুত্র জানায়, মূলত দাঁতমারা বিট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও নারায়নহাট রেঞ্জে অফিসার আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে লাল মাটি কাটা ও বনের কাঠ পাচারে সহযোগিতা প্রদানে ঘুষ বাণিজ্য ওপেন। এব্যাপারে কথা বলতে দাঁতমারা বিট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহিমকে বার বার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।