Dhaka ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাঁতমারা ও নারায়নহাট দিয়ে প্রতিদিন পাচার হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার অবৈধ কাঠ

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা ও নারায়নহাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ পাচার হচ্ছে। এ পাচারে সহযোগীতা করে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন দাঁতমারার বিট অফিসার আব্দুর রহিম। কাঠ পাচার পরিবহনে সহযোগির ভূমিকা পালন করছে বন বিভাগের আরো দুটি স্টেশন নাজিরহাট ও হাটহাজারীর ১১ মাইল। এসব স্টেশনে দৈনিক ঘুষ আদায় হয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। দাঁতমারার বিট অফিসার আব্দুর রহিমের কাঠ পাচারে ঘুষ বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য আদায়কৃত ঘুষের একটি অংশ পৌঁছে দেন তিনি। তাই তারা এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফটিকছড়ি বন অঞ্চল শান্তিরহাট দিয়ে প্রতিদিন তিনটি ট্রাক কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন রাস্তার নিরাপত্তা নিয়ে। গাড়ীগুলোর নাম্বার হলো চট্টমেট্রো ১১-৭৮৮৮, ১১-০৯৬৩। কাঠ পরিবহনের বৈধ অনুমতি আছে কি-না তা তল্লাশী না হয়ে নিরাপদে এলাকা পার হওয়ার জন্য দাঁতমারার বিট অফিস ও নারায়নহাটের রেঞ্জ অফিসের জন্য দেয়া হয় গাড়ী প্রতি ১২ হাজার টাকা। এটাকা সংগ্রহ করেন দাঁতমারার বিট অফিসার আব্দুর রহিম। সেই টাকা আদায় করতে প্রকাশ্যে কাঠ পাচারে সহায়তা করেন তিনি। আর এই সুযোগে কাঠ ব্যবসায়ীরা বন বিভাগকে ঘুষ দিয়ে প্রতিদিন পরিবহন করেন ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার অবৈধ কাঠ। ফলে অবৈধ কাঠ পাচার করলেও ঘুষ নিয়ে চুপ থাকেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ২০ গাড়ি কাঠ, জ্বালানি কাঠ, বাঁশ ও অন্যান্য বনজদ্রব্য নিয়ে গাড়ি অতিক্রম করে দাঁতমারা ও নারায়নহাট রেঞ্জ অফিস। সেসব গাড়ি থেকে প্রতিদিন ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় হয়। নারায়নহাট রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, বনাঞ্চল উজাড় রোধে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছি। অবৈধ কাঠ পাচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন

দাঁতমারা ও নারায়নহাট দিয়ে প্রতিদিন পাচার হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার অবৈধ কাঠ

Update Time : ১২:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা ও নারায়নহাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ পাচার হচ্ছে। এ পাচারে সহযোগীতা করে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন দাঁতমারার বিট অফিসার আব্দুর রহিম। কাঠ পাচার পরিবহনে সহযোগির ভূমিকা পালন করছে বন বিভাগের আরো দুটি স্টেশন নাজিরহাট ও হাটহাজারীর ১১ মাইল। এসব স্টেশনে দৈনিক ঘুষ আদায় হয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। দাঁতমারার বিট অফিসার আব্দুর রহিমের কাঠ পাচারে ঘুষ বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য আদায়কৃত ঘুষের একটি অংশ পৌঁছে দেন তিনি। তাই তারা এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফটিকছড়ি বন অঞ্চল শান্তিরহাট দিয়ে প্রতিদিন তিনটি ট্রাক কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন রাস্তার নিরাপত্তা নিয়ে। গাড়ীগুলোর নাম্বার হলো চট্টমেট্রো ১১-৭৮৮৮, ১১-০৯৬৩। কাঠ পরিবহনের বৈধ অনুমতি আছে কি-না তা তল্লাশী না হয়ে নিরাপদে এলাকা পার হওয়ার জন্য দাঁতমারার বিট অফিস ও নারায়নহাটের রেঞ্জ অফিসের জন্য দেয়া হয় গাড়ী প্রতি ১২ হাজার টাকা। এটাকা সংগ্রহ করেন দাঁতমারার বিট অফিসার আব্দুর রহিম। সেই টাকা আদায় করতে প্রকাশ্যে কাঠ পাচারে সহায়তা করেন তিনি। আর এই সুযোগে কাঠ ব্যবসায়ীরা বন বিভাগকে ঘুষ দিয়ে প্রতিদিন পরিবহন করেন ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার অবৈধ কাঠ। ফলে অবৈধ কাঠ পাচার করলেও ঘুষ নিয়ে চুপ থাকেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ২০ গাড়ি কাঠ, জ্বালানি কাঠ, বাঁশ ও অন্যান্য বনজদ্রব্য নিয়ে গাড়ি অতিক্রম করে দাঁতমারা ও নারায়নহাট রেঞ্জ অফিস। সেসব গাড়ি থেকে প্রতিদিন ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় হয়। নারায়নহাট রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, বনাঞ্চল উজাড় রোধে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছি। অবৈধ কাঠ পাচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।