চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : বিশিষ্ট ধর্মতত্ত্ববিদ ও সমাজঅনুভাবক অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্ত্তী বলেছেন, দীপাবলির শিক্ষা হলো মানুষের অন্তরের অন্ধকার দূর করে আলোর অভিমুখে যাত্রা। তিনি আরো বলেন, সনাতন ধর্মের বিশ্বাস মতে, মূর্তি বা প্রতিমার মধ্যেও ঈশ্বর বিরাজিত অর্থাৎ হিন্দু আসলে তাঁরই পূজা করেন, মূর্তিকে পূজা করেন না। অধিকন্তু ভক্তের কল্পনায় ঈশ্বরের বা দেব-দেবীর যে রূপ, সে রকম একটা অবয়ব তৈরি করে তাতে মন স্থির করলে আরাধনায় একাগ্রতা আসে, একটা পবিত্র আবহ সৃষ্টি হয়। গত ১ নভেম্বর শুক্রবার হাবিলাসদ্বীপ কাত্যায়নী শ্যামা মাতৃমন্দির প্রাঙ্গণে সন্ধা ৬টায় হাবিলাসদ্বীপ কাত্যায়নী শ্যামা মাতৃমন্দির ও গীতা শিক্ষা পীঠ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত শ্যামাপূজার আলোচনা সভা ও গীতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই কথাগুলো বলেন। বিশিষ্ট সমাজসেবক রণজিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং পটিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাশগুপ্ত ছোটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ (বাগীশিপ)-চট্টগ্রাম জেলার উপদেষ্টা রুবেল দাশ। মহান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ (বাগীশিপ)-কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক শিপুল কুমার দে, সদস্য সচিব লায়ন রিমন কান্তি মুহুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-পটিয়া উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিপু, বাগীশিপ-চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শুক্লদাশ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-পটিয়া উপজেলার আহবায়ক মেম্বার নিখিল দে, সদস্য সচিব তাপস দে, সদস্য ছোটন সরকার, পটিয়া পৌরসভার আহবায়ক বিকাশ দাশ বিশু, সদস্য শিক্ষক দীপক কান্তি শর্মা, বিশ্বজিৎ শীল। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন সাফা এগ্রো লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে এম আরফাজুল ইসলাম কাইছার। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক তপন তালুকদার, সজল চৌধুরী, লিটু চৌধুরী, জুয়েল, তপন চৌধুরী, সত্যজিৎ আচার্য্য, মনজিত আচার্য্য, জুয়েল আচার্য্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলেন গীতা শিক্ষা পীঠের শিক্ষার্থীরা। সবশেষে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিগণ শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও প্রশংসা সনদপত্র বিতরণ করেন।