০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের হামলায় এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত

  • আপডেট: ০৫:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • 153

আকাশ দেবনাথ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে। আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আকরাম বলে জানা গেছে। তবে নিহত আরেকজন শ্রমিক বলে জানা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলেও পরে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হয়। কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে তারাই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আরও ৯ জন আসছে। জানা গেছে, বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহর আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুই নম্বর গেটের এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর করে তারা। সবশেষ পাওয়া তথ্য মতে, ষোলশহর শিক্ষা বোর্ড এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। মুরাদপুর অংশে অবস্থান নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। দুই নম্বর ও ষোলশহর এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। কোটা আন্দোলনকারীরাও লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের হামলায় এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত

আপডেট: ০৫:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

আকাশ দেবনাথ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে। আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আকরাম বলে জানা গেছে। তবে নিহত আরেকজন শ্রমিক বলে জানা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলেও পরে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হয়। কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে তারাই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আরও ৯ জন আসছে। জানা গেছে, বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহর আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুই নম্বর গেটের এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর করে তারা। সবশেষ পাওয়া তথ্য মতে, ষোলশহর শিক্ষা বোর্ড এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। মুরাদপুর অংশে অবস্থান নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। দুই নম্বর ও ষোলশহর এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। কোটা আন্দোলনকারীরাও লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।