চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা-ই জাতির সৌন্দর্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান নানান উন্নয়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে শিরদাঁড়া সোজা করা জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে দাঁড় করিয়েছেন। মেরুদণ্ড সোজা হওয়া এ জাতিকে অপরাধমুক্ত সুশিক্ষিত মেধাবীরা সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিবে বলে মত ব্যক্ত করেছেন লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান।
লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান মেধাবৃত্তি-২০২৩-এর পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল ৮ জুলাই শনিবার বেলা তিনটায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মুসলিম উদ্দিন।
বিগত ২৩ জুন ২০২৩ শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪র্থ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতি ক্লাসে ৫ জন করে ৭ ক্লাসে সর্বমোট ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রতিটি মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীকে নগদ ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম নগরী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল এবং ‘এ’-গ্রেড প্রাপ্ত মেধাবী প্রথম ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে সামাজিক সংগঠন ‘আপন’ এর আয়োজনে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নগদ অর্থসহ ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান মেধাবৃত্তি-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট জাফর হায়দার, হযরত কালুশাহ (রহ:) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন, ইউনাইটেড রেসি: স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ইমরান।
পুরস্কার বিতরণকালে লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান আরো বলেন, শিক্ষাকে অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক হিসেবে উপহার দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার। মেধাবী শিক্ষার্থীরা আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দিবে। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিজের বাবা-মা এবং পরিবারের জন্য গর্বের ধন হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে। বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, কারিগরি ও দাখিল স্তর পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ নিশ্চিত করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। বিনামূল্যে কোটি কোটি বই ছেপে সেই বই শিক্ষার্থীদের নাগালে পৌঁছে দিয়ে পৃথিবীর বুকে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা শুরু হয়। তার আগে কেবল প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হতো। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছরই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, সেই সঙ্গে পাঠ্যবই মুদ্রণের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।