Dhaka ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • 61

এ এস এম সেলিমুল আলম চৌধুরী : শেখ হাসিনা আজ একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, একজন সফল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিশ্বনেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে আজকের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবসময় শোষণ, বঞ্চনা, অবিচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার হয়ে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে। এই দল ক্ষমতায় থাকলে জনগণের ভাগ্যের উন্নতি হয়। আজ দলের ৭৪ বছরের ইতিহাস সেই সত্যের সাক্ষ্য দেয়।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যাণ্ড সফর তার অর্জনে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যগাথার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাপ্রধানরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে, সে কথাগুলোও বিশ্বনেতারা স্মরণ করেছেন আজ অকপটে।
রেকর্ডসংখ্যক টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চালকের আসনে থেকে দেশের পুরো চেহারাই বদলে দিয়েছেন। দেশের শতভাগ মানুষের ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুৎ, সর্বত্র পাকারাস্তা, পুল-ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মার বুক চিড়ে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এসবই বর্তমানে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার এক বাস্তব চিত্র। দেশের এই সত্যিকারের বদলে যাওয়ার প্রধান রূপকারই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসোপানে। দেশ এগিয়ে চলেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে। স্বাধীনতার পর যে দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে এক স্বরণীয় নাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে ঘুরে দাঁড়ানো, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়কারী দেশ বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে থেকে এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি মাইলফলক দিয়েছেন, প্রথমটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন ২০২১, দ্বিতীয়টি ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জন করা, তৃতীয়টি ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার এবং চতুর্থটি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। শিক্ষায় উন্নতি, যোগাযোগের অবকাঠামো, নারীদের শিক্ষা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা ১০০% বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ, সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষার সোশ্যাল সেফটি নেট সাপোর্ট প্রদান, স্বামী পরত্যক্তা নারীদের সহযোগিতা, অটিজম, প্রধানমন্ত্রীর সরকারের প্রধান উদ্যোগসমূহ বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় বীর হিসেবে মর্যাদা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়ন তার সরকারেরই অবদান। আমাদের একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এটিই বর্তমান প্রজন্মের প্রত্যাশা।
লেখক : এ এস এম সেলিমুল আলম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক সূর্যোদয়

Tag :

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎস

Update Time : ০২:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

এ এস এম সেলিমুল আলম চৌধুরী : শেখ হাসিনা আজ একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, একজন সফল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিশ্বনেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে আজকের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবসময় শোষণ, বঞ্চনা, অবিচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার হয়ে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে। এই দল ক্ষমতায় থাকলে জনগণের ভাগ্যের উন্নতি হয়। আজ দলের ৭৪ বছরের ইতিহাস সেই সত্যের সাক্ষ্য দেয়।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যাণ্ড সফর তার অর্জনে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যগাথার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাপ্রধানরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে, সে কথাগুলোও বিশ্বনেতারা স্মরণ করেছেন আজ অকপটে।
রেকর্ডসংখ্যক টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চালকের আসনে থেকে দেশের পুরো চেহারাই বদলে দিয়েছেন। দেশের শতভাগ মানুষের ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুৎ, সর্বত্র পাকারাস্তা, পুল-ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মার বুক চিড়ে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এসবই বর্তমানে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার এক বাস্তব চিত্র। দেশের এই সত্যিকারের বদলে যাওয়ার প্রধান রূপকারই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসোপানে। দেশ এগিয়ে চলেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে। স্বাধীনতার পর যে দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে এক স্বরণীয় নাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে ঘুরে দাঁড়ানো, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়কারী দেশ বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে থেকে এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি মাইলফলক দিয়েছেন, প্রথমটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন ২০২১, দ্বিতীয়টি ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জন করা, তৃতীয়টি ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার এবং চতুর্থটি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। শিক্ষায় উন্নতি, যোগাযোগের অবকাঠামো, নারীদের শিক্ষা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা ১০০% বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ, সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষার সোশ্যাল সেফটি নেট সাপোর্ট প্রদান, স্বামী পরত্যক্তা নারীদের সহযোগিতা, অটিজম, প্রধানমন্ত্রীর সরকারের প্রধান উদ্যোগসমূহ বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় বীর হিসেবে মর্যাদা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়ন তার সরকারেরই অবদান। আমাদের একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এটিই বর্তমান প্রজন্মের প্রত্যাশা।
লেখক : এ এস এম সেলিমুল আলম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক সূর্যোদয়