Dhaka ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিগুণ আমদানি পরেও মসলার বাজারে সংকট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • 59

তপন তালুকদার : চাহিদার বিপরীতে দ্বিগুণ আমদানির পরও কোরবানির ঈদের আগেই মসলার বাজারে সংকট। সংকটের দোহাই দিয়ে গত এক মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মরিচ, লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, গোলমরিচসহ নানা মসলাজাত পণ্যের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। খাতুনগঞ্জের মসলার মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জিরা, লবঙ্গ, ধনে ও কাঠবাদামের। বাজারে জিরা বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৭০ টাকায়। যা গতবছর এদিনে বিক্রি হয়েছিল ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকায়।

এক বছরের ব্যবধানে এ মসলাজাত পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশেরও বেশি। লবঙ্গের দাম বছরের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। পাইকারি বাজারে লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা। এছাড়া ধনিয়া বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা যা গতবছর এ দিনে বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বছরের ব্যবধানে ধনিয়া দাম বেড়েছে ৬৬ শতাংশেরও বেশি। এলাচ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, সকল ধরনের মরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে কাজুবাদাম ১০০০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা, কাঠবাদাম ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, কিসমিস ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, সরিষা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, গোলমরিচ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, স্টার মসলা ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা, দারুচিনি ৩১০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা, শাহী জিরা ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, এলাচ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আদা ও রসুনের দামও এখনো বেশ চড়া। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আমদানির রসুন ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন শতভাগ মার্জিনে এলসি খুলতে হচ্ছে। তা সব আমদানিকারক পারছেন না। এসব জটিলতার কারণে মসলার বাজাওে প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া অনেক মসলার পণ্যে আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে দামেরও পরিবর্তন হয়েছে।

এদিকে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ২০ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৪১৪.৩৭ টন জিরা আমদানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮০.৯৫ টন। অথচ সংকট দেখিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জিরার দামও বাড়ানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্য অনুযায়ী, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৩৮ টন দারুচিনি, ৪২৩ টন লবঙ্গ, ৮৫৮ টন এলাচ, ১ হাজার ২৫৩ টন জিরা, ১০৬ টন জয়ত্রী এবং ৪৯৩ টন গোলমরিচ আমদানি হয়েছে। সবমিলিয়ে লবঙ্গ ৩০ শতাংশ, মরিচ ১১ শতাংশ ও রসুনের আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।

Tag :

দ্বিগুণ আমদানি পরেও মসলার বাজারে সংকট

Update Time : ০৬:৪১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

তপন তালুকদার : চাহিদার বিপরীতে দ্বিগুণ আমদানির পরও কোরবানির ঈদের আগেই মসলার বাজারে সংকট। সংকটের দোহাই দিয়ে গত এক মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মরিচ, লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, গোলমরিচসহ নানা মসলাজাত পণ্যের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। খাতুনগঞ্জের মসলার মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জিরা, লবঙ্গ, ধনে ও কাঠবাদামের। বাজারে জিরা বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৭০ টাকায়। যা গতবছর এদিনে বিক্রি হয়েছিল ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকায়।

এক বছরের ব্যবধানে এ মসলাজাত পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশেরও বেশি। লবঙ্গের দাম বছরের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। পাইকারি বাজারে লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা। এছাড়া ধনিয়া বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা যা গতবছর এ দিনে বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বছরের ব্যবধানে ধনিয়া দাম বেড়েছে ৬৬ শতাংশেরও বেশি। এলাচ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, সকল ধরনের মরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে কাজুবাদাম ১০০০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা, কাঠবাদাম ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, কিসমিস ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, সরিষা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, গোলমরিচ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, স্টার মসলা ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা, দারুচিনি ৩১০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা, শাহী জিরা ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, এলাচ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আদা ও রসুনের দামও এখনো বেশ চড়া। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আমদানির রসুন ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন শতভাগ মার্জিনে এলসি খুলতে হচ্ছে। তা সব আমদানিকারক পারছেন না। এসব জটিলতার কারণে মসলার বাজাওে প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া অনেক মসলার পণ্যে আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে দামেরও পরিবর্তন হয়েছে।

এদিকে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ২০ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৪১৪.৩৭ টন জিরা আমদানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮০.৯৫ টন। অথচ সংকট দেখিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জিরার দামও বাড়ানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্য অনুযায়ী, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৩৮ টন দারুচিনি, ৪২৩ টন লবঙ্গ, ৮৫৮ টন এলাচ, ১ হাজার ২৫৩ টন জিরা, ১০৬ টন জয়ত্রী এবং ৪৯৩ টন গোলমরিচ আমদানি হয়েছে। সবমিলিয়ে লবঙ্গ ৩০ শতাংশ, মরিচ ১১ শতাংশ ও রসুনের আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।