Dhaka ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষীপুরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তৃতীয় বার ব্যবহারিক ফি নামে কেন্দ্র ফি আদায়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
  • 3366

লক্ষীপুর প্রতিনিধি : লক্ষীপুরে কমলনগরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ৩য় বার ব্যবহারিক ফি নামে কেন্দ্র ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কমলনগর -২, কেন্দ্র সচিব নুর আলমের বিরুদ্ধে।তিনি মতির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ উঠেছে তিনি ব্যবহারিক পরীক্ষা ফি নামে জনপতি শিক্ষার্থীদের থেকে রসায়ন বিজ্ঞান-৫০, জীব বিজ্ঞান-৫০,পদার্থ বিজ্ঞান ৫০,উচ্চতর গনিত-৫০,কৃষি শিক্ষা -১০০ টাকা করে দায়িত্বপাপ্ত শিক্ষক দের মাধ্যমে কালেশন করে সচিব নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।

একই অভিযোগ (কমলনগর কেন্দ্র-১) ও মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধেও। কমলনগর কেন্দ্র -২ এর পরিক্ষার্থী,পারবিন,নাজমা, করিম, নওরিন, মিকি,নিশি,রবিন,রাকিব, ইস্রাফিল,মিম,সুমাইয়া,সুরাইয়া, বিথী জানান, আমাদের ব্যবহারিক খাতা সাক্ষর করতে প্রতি বিষয় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা ১০০ থেকে ৩০০ টাকা প্রযন্ত আদায় করেছেন এবংপরিক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারিক ফি নামে কৃষি শিক্ষা -১০০ টাকা,রসায়ন বিজ্ঞান-৫০, জীব বিজ্ঞান-৫০,পদার্থ বিজ্ঞান ৫০,উচ্চতর গনিত-৫০টাকা করে আদায় করেছেন। অন্যদিকে ২০২৩ সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় শিক্ষাবোর্ডের দেওয়া নীতিমালা কোন প্রতিষ্ঠান মানেনি। পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগের বোর্ড ফি ১,৬২৫ টাকা কেন্দ্র ফি: (ব্যবহারিক ফি সহ)৫১৫ =২১৪০ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ও মানবিক শাখায় বোর্ড ফি ১,৫৩৫ টাকা কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা (ব্যবহারিক ফি সহ)=২০২০টাকা।

শিক্ষাবোর্ডের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বোর্ডের এই নীতিমালা কে তোয়াক্কা না করে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। এখন আবার নতুন করে ব্যবহারিক ফি নিচ্ছে যা আগে নিয়েছে। এইআগে ২১ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ফেসবুকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না এই নিয়ে একটি স্ট্যাটাসও দিয়ে সর্তক করে দিয়েছেন। আবার সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান দের উপজেলায় ডেকে সর্তক করেছেন যেন কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি আদায় না করে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থ চাইলে তাকে অবহিত করতে বলেছেন। এর আগে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।এত কিছুর পরের থামছে না এই অনিয়ম।

কেন্দ্রসচিব মোঃ নুরুল আলম জানান, তিনি কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা প্রশাসন সাথে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক ফি বাবদ টাকা নিচ্ছেন, সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিষয়ে অবগত আছেন কিনা?  অনুমতি দিয়েছেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন তিনি কোন অনুমতি দেন নি। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। লক্ষীপুর জেলা সুজন সভাপতি মো: কামাল হোসেন জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সতর্কের পরেও যারা অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন তা যেন ফেরত দেওয়া হয়।এটা একধরনের বানিজ্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন অন্তত এই বানিজ্য বন্ধ হয়। জিলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, অভিযোগ শুনেছি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাসবলেন আমরা অভিযোগ শুনেছি বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এর পরেও যারা অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

লক্ষীপুরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তৃতীয় বার ব্যবহারিক ফি নামে কেন্দ্র ফি আদায়

Update Time : ০৯:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

লক্ষীপুর প্রতিনিধি : লক্ষীপুরে কমলনগরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ৩য় বার ব্যবহারিক ফি নামে কেন্দ্র ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কমলনগর -২, কেন্দ্র সচিব নুর আলমের বিরুদ্ধে।তিনি মতির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ উঠেছে তিনি ব্যবহারিক পরীক্ষা ফি নামে জনপতি শিক্ষার্থীদের থেকে রসায়ন বিজ্ঞান-৫০, জীব বিজ্ঞান-৫০,পদার্থ বিজ্ঞান ৫০,উচ্চতর গনিত-৫০,কৃষি শিক্ষা -১০০ টাকা করে দায়িত্বপাপ্ত শিক্ষক দের মাধ্যমে কালেশন করে সচিব নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।

একই অভিযোগ (কমলনগর কেন্দ্র-১) ও মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধেও। কমলনগর কেন্দ্র -২ এর পরিক্ষার্থী,পারবিন,নাজমা, করিম, নওরিন, মিকি,নিশি,রবিন,রাকিব, ইস্রাফিল,মিম,সুমাইয়া,সুরাইয়া, বিথী জানান, আমাদের ব্যবহারিক খাতা সাক্ষর করতে প্রতি বিষয় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা ১০০ থেকে ৩০০ টাকা প্রযন্ত আদায় করেছেন এবংপরিক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারিক ফি নামে কৃষি শিক্ষা -১০০ টাকা,রসায়ন বিজ্ঞান-৫০, জীব বিজ্ঞান-৫০,পদার্থ বিজ্ঞান ৫০,উচ্চতর গনিত-৫০টাকা করে আদায় করেছেন। অন্যদিকে ২০২৩ সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় শিক্ষাবোর্ডের দেওয়া নীতিমালা কোন প্রতিষ্ঠান মানেনি। পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগের বোর্ড ফি ১,৬২৫ টাকা কেন্দ্র ফি: (ব্যবহারিক ফি সহ)৫১৫ =২১৪০ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ও মানবিক শাখায় বোর্ড ফি ১,৫৩৫ টাকা কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা (ব্যবহারিক ফি সহ)=২০২০টাকা।

শিক্ষাবোর্ডের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বোর্ডের এই নীতিমালা কে তোয়াক্কা না করে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। এখন আবার নতুন করে ব্যবহারিক ফি নিচ্ছে যা আগে নিয়েছে। এইআগে ২১ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ফেসবুকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না এই নিয়ে একটি স্ট্যাটাসও দিয়ে সর্তক করে দিয়েছেন। আবার সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান দের উপজেলায় ডেকে সর্তক করেছেন যেন কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি আদায় না করে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থ চাইলে তাকে অবহিত করতে বলেছেন। এর আগে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।এত কিছুর পরের থামছে না এই অনিয়ম।

কেন্দ্রসচিব মোঃ নুরুল আলম জানান, তিনি কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা প্রশাসন সাথে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক ফি বাবদ টাকা নিচ্ছেন, সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিষয়ে অবগত আছেন কিনা?  অনুমতি দিয়েছেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন তিনি কোন অনুমতি দেন নি। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। লক্ষীপুর জেলা সুজন সভাপতি মো: কামাল হোসেন জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সতর্কের পরেও যারা অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন তা যেন ফেরত দেওয়া হয়।এটা একধরনের বানিজ্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন অন্তত এই বানিজ্য বন্ধ হয়। জিলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, অভিযোগ শুনেছি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাসবলেন আমরা অভিযোগ শুনেছি বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এর পরেও যারা অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।