Dhaka ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্রগ্রামে তেইশটি অস্হায়ী পশুর হাট বসাতে চাই চসিক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • 1659

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্রগ্রাম মহানগরীতে গতবারের প্রায় আট গুণ বেশি অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এসব হাট বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছে সংস্থাটি। অবশ্য জেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত পশুর হাটগুলোর বিষয়ে নগর পুলিশের মতামত পাওয়ার পর চসিককে সিদ্ধান্ত জানাবে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, এবার নগরে ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্ব শাখা। গতবার (২০২২) চসিকের ব্যবস্থাপনায় অস্থায়ী হাট বসেছিল তিনটি। ওই হিসেবে এবার গতবারের প্রায় আট গুণ অস্থায়ী পশুর হাট বসতে পারে নগরে। অস্থায়ী হাটের বাইরে নগরে চসিকের তিনটি স্থায়ী পশুর হাট আছে। চসিক প্রস্তাবিত অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি পেলে এবার নগরে মোট ২৯টি হাটে কোরবানি পশু বিকিকিনি হবে। জানা গেছে, ২০২২ সালে ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনে আবেদন করে চসিক। অনুমতি পাওয়ার পর চসিক চারটিতে ইজারাদার নিয়োগ দিলেও শেষ পর্যন্ত বাজার বসে তিনটিতে। ২০২২ ও ২০২১ সালে স্থায়ী–অস্থায়ী মিলে ছয়টি করে পশুর হাট বসেছিল চসিকের ব্যবস্থাপনায়। এর আগে ২০২০ সালে অস্থায়ী চারটিসহ মোট হাট বসেছিল সাতটি।

চসিকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রস্তাবিত পশুর হাটগুলো হচ্ছে– ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের খেঁজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ, স্টিল মিল বাজার, পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, উত্তর পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠ, মুসলিমাবাদ টি কে গ্রুপের খালি মাঠ এবং মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের চর চাক্তাই চসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে খালি জায়গায়, ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের গলিচিপা পাড়া বারুনী ঘাটা ও গাজী হালদা খালি জায়গা এবং এবই ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, কয়লার ঘর ক্রিয়েটিভ স্কুলের সামনে, বকসু নগর মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, মধ্যম শহীদ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, পশ্চিম শহীদ নগর কালু কোম্পানির বাড়ির পাশে, কামরাবাদ সামাদপুর মোড় এবং হাজী পাড়া বারেক শাহ মাজার সংলগ্ন মাঠ, ৫নং মোহরা ওয়ার্ডের জান আলী স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের পরিত্যক্ত মাঠ, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠ, ১৭নং পশ্চিম বাকলিায় ওয়ার্ডের বাকলিয়া এক্সেস রোডের পাশে খালি মাঠ এবং ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের চৌধুরী হাট।

এছাড়া স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। সাগরিকা ও পোস্তারপাড়ে ইাজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বিবিরহাটে দুইবার দরপত্র আহ্বান করলেও কেউ সাড়া দেয়নি। বর্তমানে সেখানে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করে চসিক।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে চসিক। এতে বলা হয়, স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটাতে অস্থায়ীভাবে পশু বাজার ইজারা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা দরপত্র কার্যক্রম শুরু করব। তবে জেলা প্রশাসন সিএমপির মতামত পাওয়ার পর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। গতবারের চেয়ে এবার বেশি সংখ্যক অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ১ থেকে ১০ জিলহজ্ব চসিকরে ব্যবস্থাপনার পবিত্র কোরবানির পশুর হাট বসে নগরে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত এবার হাট বসতে পারে।

Tag :

ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্রগ্রামে তেইশটি অস্হায়ী পশুর হাট বসাতে চাই চসিক

Update Time : ০৫:৩২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্রগ্রাম মহানগরীতে গতবারের প্রায় আট গুণ বেশি অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এসব হাট বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছে সংস্থাটি। অবশ্য জেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত পশুর হাটগুলোর বিষয়ে নগর পুলিশের মতামত পাওয়ার পর চসিককে সিদ্ধান্ত জানাবে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, এবার নগরে ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্ব শাখা। গতবার (২০২২) চসিকের ব্যবস্থাপনায় অস্থায়ী হাট বসেছিল তিনটি। ওই হিসেবে এবার গতবারের প্রায় আট গুণ অস্থায়ী পশুর হাট বসতে পারে নগরে। অস্থায়ী হাটের বাইরে নগরে চসিকের তিনটি স্থায়ী পশুর হাট আছে। চসিক প্রস্তাবিত অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি পেলে এবার নগরে মোট ২৯টি হাটে কোরবানি পশু বিকিকিনি হবে। জানা গেছে, ২০২২ সালে ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনে আবেদন করে চসিক। অনুমতি পাওয়ার পর চসিক চারটিতে ইজারাদার নিয়োগ দিলেও শেষ পর্যন্ত বাজার বসে তিনটিতে। ২০২২ ও ২০২১ সালে স্থায়ী–অস্থায়ী মিলে ছয়টি করে পশুর হাট বসেছিল চসিকের ব্যবস্থাপনায়। এর আগে ২০২০ সালে অস্থায়ী চারটিসহ মোট হাট বসেছিল সাতটি।

চসিকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রস্তাবিত পশুর হাটগুলো হচ্ছে– ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের খেঁজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ, স্টিল মিল বাজার, পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, উত্তর পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠ, মুসলিমাবাদ টি কে গ্রুপের খালি মাঠ এবং মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের চর চাক্তাই চসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে খালি জায়গায়, ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের গলিচিপা পাড়া বারুনী ঘাটা ও গাজী হালদা খালি জায়গা এবং এবই ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, কয়লার ঘর ক্রিয়েটিভ স্কুলের সামনে, বকসু নগর মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, মধ্যম শহীদ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, পশ্চিম শহীদ নগর কালু কোম্পানির বাড়ির পাশে, কামরাবাদ সামাদপুর মোড় এবং হাজী পাড়া বারেক শাহ মাজার সংলগ্ন মাঠ, ৫নং মোহরা ওয়ার্ডের জান আলী স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের পরিত্যক্ত মাঠ, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠ, ১৭নং পশ্চিম বাকলিায় ওয়ার্ডের বাকলিয়া এক্সেস রোডের পাশে খালি মাঠ এবং ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের চৌধুরী হাট।

এছাড়া স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। সাগরিকা ও পোস্তারপাড়ে ইাজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বিবিরহাটে দুইবার দরপত্র আহ্বান করলেও কেউ সাড়া দেয়নি। বর্তমানে সেখানে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করে চসিক।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে চসিক। এতে বলা হয়, স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটাতে অস্থায়ীভাবে পশু বাজার ইজারা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা দরপত্র কার্যক্রম শুরু করব। তবে জেলা প্রশাসন সিএমপির মতামত পাওয়ার পর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। গতবারের চেয়ে এবার বেশি সংখ্যক অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ১ থেকে ১০ জিলহজ্ব চসিকরে ব্যবস্থাপনার পবিত্র কোরবানির পশুর হাট বসে নগরে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত এবার হাট বসতে পারে।