Dhaka ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে মোখা, বাতাসের গতি ২১৫

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • 1819

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১৪ মে রোববার সকাল পৌনে ৯টায় দেয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালের বুলেটিনে জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার অতিক্রম করবে। ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঝড়টি।

রোববার বিকালের মধ্যে এ ঝড় সাগর থেকে পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া ফেনী, নোয়াখালী, ল²ীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল ৭ ফুটের বেশি জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে।

Tag :

কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে মোখা, বাতাসের গতি ২১৫

Update Time : ০৫:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১৪ মে রোববার সকাল পৌনে ৯টায় দেয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালের বুলেটিনে জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার অতিক্রম করবে। ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঝড়টি।

রোববার বিকালের মধ্যে এ ঝড় সাগর থেকে পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া ফেনী, নোয়াখালী, ল²ীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল ৭ ফুটের বেশি জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে।