Dhaka ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে দুইশ টাকা দিয়েই চলেচট্টগ্রামে ভাসমান হোটেল ব‍্যবসা

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব‍্যুরো : গত বিশ দরে পাবনার সোলায়মান বায়েজিদ এলাকায় ভাসমান চা দোকান করে। বেশি মূলধন না থাকায় স্হায়ী দোকান করার কোনরকম সুযোগ হয় না তার। এ ভাসমান দোকান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সাত সদস্যরের সংসার। দুঃখের কথা এ প্রতিবেদক কে বলতে গিয়ে ছোখে পানি চলে আসে তার। প্রতিদিন টহল পুলিশ একশ টাকা এবং লোকাল থানার ক‍্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে নিয়ে যায় আরো একশ টাকা। এদের নিয়ম মাফিক এ অনৈতিক অর্থ না দিলে দোকান ভেঙ্গে ফেলার হুমকি আসে এবং মাঝে মাঝে ভাঙ্গার কবলে পরতে হয় তাকে। আবার নতুন করে দোকান নির্মাণ করতে ধার দেনা করে। রমজান মাস আসলে চা দোকান বন্ধ রাখার কথা থাকলে ও পুলিশকে টাকা দিয়েই দোকান চালাতে হয়। একই কথা বলল চট্টগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনে ভাসমান দোকান করা মফিজ। সে আক্ষেপ করে বলে আমাদের তেমন কোন পুজি না থাকায় স্হায়ীভাবে দোকান নিয়ে বসতে পারিনা। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশ এক প্রকার জোর করে আমাদের থেকে টাকা আদায় করে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এরকম শতশত ভাসমান দোকান রয়েছে। এসব দোকান থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন ২/৩ করে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে এসব ভাসমান দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া। রমজান মাসে এদের টাকা দিতে হয় ডাবল। অবৈধ টাকা দেয়ার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করে বিল না দেয়ার ও অভ‍্যাস রয়েছে তাদের। পুলিশের পাশাপাশি প্রতিদিন চাদা দিতে হয় স্হানীয় নেতাদের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে স্হানীয় চাদাবাজরা জোরপূর্বক চাদা আদায় করে। এদের চাদা না দিলে মারধরের সমুক্ষীন হতৃ হয়। প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করে ও কোন সুবিচার পায় না এসব ভাসমান ব‍্যবসায়ীরা।এ বিষয়ে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক সুর্যোদয় কে জানান কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। উপযুক্ত প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব‍্যবস্হা নেয়া হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন

পুলিশকে দুইশ টাকা দিয়েই চলেচট্টগ্রামে ভাসমান হোটেল ব‍্যবসা

Update Time : ০৯:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব‍্যুরো : গত বিশ দরে পাবনার সোলায়মান বায়েজিদ এলাকায় ভাসমান চা দোকান করে। বেশি মূলধন না থাকায় স্হায়ী দোকান করার কোনরকম সুযোগ হয় না তার। এ ভাসমান দোকান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সাত সদস্যরের সংসার। দুঃখের কথা এ প্রতিবেদক কে বলতে গিয়ে ছোখে পানি চলে আসে তার। প্রতিদিন টহল পুলিশ একশ টাকা এবং লোকাল থানার ক‍্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে নিয়ে যায় আরো একশ টাকা। এদের নিয়ম মাফিক এ অনৈতিক অর্থ না দিলে দোকান ভেঙ্গে ফেলার হুমকি আসে এবং মাঝে মাঝে ভাঙ্গার কবলে পরতে হয় তাকে। আবার নতুন করে দোকান নির্মাণ করতে ধার দেনা করে। রমজান মাস আসলে চা দোকান বন্ধ রাখার কথা থাকলে ও পুলিশকে টাকা দিয়েই দোকান চালাতে হয়। একই কথা বলল চট্টগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনে ভাসমান দোকান করা মফিজ। সে আক্ষেপ করে বলে আমাদের তেমন কোন পুজি না থাকায় স্হায়ীভাবে দোকান নিয়ে বসতে পারিনা। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশ এক প্রকার জোর করে আমাদের থেকে টাকা আদায় করে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এরকম শতশত ভাসমান দোকান রয়েছে। এসব দোকান থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন ২/৩ করে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে এসব ভাসমান দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া। রমজান মাসে এদের টাকা দিতে হয় ডাবল। অবৈধ টাকা দেয়ার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করে বিল না দেয়ার ও অভ‍্যাস রয়েছে তাদের। পুলিশের পাশাপাশি প্রতিদিন চাদা দিতে হয় স্হানীয় নেতাদের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে স্হানীয় চাদাবাজরা জোরপূর্বক চাদা আদায় করে। এদের চাদা না দিলে মারধরের সমুক্ষীন হতৃ হয়। প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করে ও কোন সুবিচার পায় না এসব ভাসমান ব‍্যবসায়ীরা।এ বিষয়ে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক সুর্যোদয় কে জানান কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। উপযুক্ত প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব‍্যবস্হা নেয়া হয়।