Dhaka ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম ৮ আসনের নির্বাচন ইস্যুতে স্থগিত করা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন

  • আপডেট: ০৭:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
  • 10954

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রাম-৮ আসনের (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) উপ-নির্বাচনের কারণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন স্থগিত রয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ নির্বাচনের পর থেকেই সম্মেলন পুরোদমে শুরু হবে। এপ্রিলে এ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের কারণে তা গড়িয়ে মে মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেছে আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান।
সম্মেলন বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দৈনিক সুর্যোদয়কে বলেন, এখন সামনে একটাই লক্ষ্য চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগ এবং বোয়ালখালী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মাঠে আছেন। ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। পূর্ণ সময় নৌকার প্রচার-প্রচারণায় ব্যয় করছেন। এই নির্বাচনকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। সংগঠনের সমস্ত নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা নৌকার পক্ষে মাঠে কাজ করছে। তাই নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন এমাসে স্থগিত রাখা হয়েছে। মে মাস থেকে ফের সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। মে এবং জুন দুই মাস হাতে আছে। এই দুই মাসের মধ্যে তৃণমূলের সম্মেলন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, দলীয় কোন্দলের কারণে মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে ১২৯টি ইউনিটের মধ্যে প্রায় একশ’টি ইউনিটের সম্মেলন  শেষ হয়। এরপর ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু হলে কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করে। সর্বশেষ দুটি পক্ষ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একসাথে দেখা করে নিজেদের ক্ষোভের কথা বলেন। দলীয় প্রধানের সামনেই একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। সে সময় শেখ হাসিনা উভয়পক্ষের উদ্দেশে বলেন, নেতা তিনিই নির্বাচিত করবেন। একইসাথে তৃণমূলের সম্মেলন দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেন। তারই আলোকে কয়েকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন নিয়ে কিছুটা বিরোধ এবং বিক্ষোভও দেখা গেছে। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে নগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
নেতারা বলেন উপ নির্বাচন শেষ হলেই ওয়ার্ড সম্মেলনের কাজ পুরোপুরি শুরু হবে এবং খুব দ্রুত তা সম্পন্ন করে গ্রহণযোগ্য কমিটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়া হবে। সকল দলীয় কোন্দল মিটিয়ে সকল নেতা কর্মীর সমন্বয়ে ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে বলে নেতারা জানান।

সর্বাধিক পঠিত

কাদের গনি চৌধুরী সত্যের মশাল নিয়ে এগিয়ে চলা এক সাংবাদিক নেতা

চট্টগ্রাম ৮ আসনের নির্বাচন ইস্যুতে স্থগিত করা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন

আপডেট: ০৭:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রাম-৮ আসনের (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) উপ-নির্বাচনের কারণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন স্থগিত রয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ নির্বাচনের পর থেকেই সম্মেলন পুরোদমে শুরু হবে। এপ্রিলে এ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের কারণে তা গড়িয়ে মে মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেছে আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান।
সম্মেলন বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দৈনিক সুর্যোদয়কে বলেন, এখন সামনে একটাই লক্ষ্য চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগ এবং বোয়ালখালী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মাঠে আছেন। ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। পূর্ণ সময় নৌকার প্রচার-প্রচারণায় ব্যয় করছেন। এই নির্বাচনকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। সংগঠনের সমস্ত নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা নৌকার পক্ষে মাঠে কাজ করছে। তাই নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন এমাসে স্থগিত রাখা হয়েছে। মে মাস থেকে ফের সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। মে এবং জুন দুই মাস হাতে আছে। এই দুই মাসের মধ্যে তৃণমূলের সম্মেলন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, দলীয় কোন্দলের কারণে মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে ১২৯টি ইউনিটের মধ্যে প্রায় একশ’টি ইউনিটের সম্মেলন  শেষ হয়। এরপর ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু হলে কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করে। সর্বশেষ দুটি পক্ষ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একসাথে দেখা করে নিজেদের ক্ষোভের কথা বলেন। দলীয় প্রধানের সামনেই একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। সে সময় শেখ হাসিনা উভয়পক্ষের উদ্দেশে বলেন, নেতা তিনিই নির্বাচিত করবেন। একইসাথে তৃণমূলের সম্মেলন দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেন। তারই আলোকে কয়েকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন নিয়ে কিছুটা বিরোধ এবং বিক্ষোভও দেখা গেছে। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে নগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
নেতারা বলেন উপ নির্বাচন শেষ হলেই ওয়ার্ড সম্মেলনের কাজ পুরোপুরি শুরু হবে এবং খুব দ্রুত তা সম্পন্ন করে গ্রহণযোগ্য কমিটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়া হবে। সকল দলীয় কোন্দল মিটিয়ে সকল নেতা কর্মীর সমন্বয়ে ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে বলে নেতারা জানান।