Dhaka ০১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই: ডা. শাহাদাত

  • আপডেট: ০৬:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • 10823

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটার অধিকার নেই, সর্বোপরি মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগ ষোলশহর ২ নং গেইট বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষ তাদের সমস্ত অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। একদলীয়ভাবে চলছে দেশ। জনগণ ভোট কি জিনিস ভুলে গেছে। এ সরকারের অধীনে যে সমস্ত ভোট হয়েছে সবগুলো দিনের ভোট রাতে হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেই বিগত ১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে বিরোধী দলীয় অসংখ্য প্রার্থীদের কারাগারে বন্দী রেখেই এই সরকার একদলীয় ভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ডিজিটাল কারচুপি মাধ্যমে রাতারাতী সরকার দলীয় এমপি নির্বাচিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দুর্নীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের ধারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই বলেছিলেন ২৩ সালে দুর্ভিক্ষের প্রস্তুতি নিতে। এতে বুঝা যায়, পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি জিনিসের মূল্য আকাশচুম্বী। প্রতিটি জিনিস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। এই মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচির আবুল হাশেম বক্কর। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দলের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুর রহমান স্বপথ, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গাজী আইয়ুব আলী, মশিউল আলম স্বপন, একেএম পেয়ারু, খোরশেদ আলম কুতুবী, রঞ্জিত বড়ুয়া, আবু মুছা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জমান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, মহিলা শ্রমিক দলের শাহনেওয়াজ মিনু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত

লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই: ডা. শাহাদাত

আপডেট: ০৬:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটার অধিকার নেই, সর্বোপরি মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগ ষোলশহর ২ নং গেইট বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষ তাদের সমস্ত অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। একদলীয়ভাবে চলছে দেশ। জনগণ ভোট কি জিনিস ভুলে গেছে। এ সরকারের অধীনে যে সমস্ত ভোট হয়েছে সবগুলো দিনের ভোট রাতে হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেই বিগত ১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে বিরোধী দলীয় অসংখ্য প্রার্থীদের কারাগারে বন্দী রেখেই এই সরকার একদলীয় ভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ডিজিটাল কারচুপি মাধ্যমে রাতারাতী সরকার দলীয় এমপি নির্বাচিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দুর্নীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের ধারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই বলেছিলেন ২৩ সালে দুর্ভিক্ষের প্রস্তুতি নিতে। এতে বুঝা যায়, পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি জিনিসের মূল্য আকাশচুম্বী। প্রতিটি জিনিস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। এই মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচির আবুল হাশেম বক্কর। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দলের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুর রহমান স্বপথ, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গাজী আইয়ুব আলী, মশিউল আলম স্বপন, একেএম পেয়ারু, খোরশেদ আলম কুতুবী, রঞ্জিত বড়ুয়া, আবু মুছা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জমান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, মহিলা শ্রমিক দলের শাহনেওয়াজ মিনু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া প্রমুখ।