চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিভাগীয় কর্মকর্তা আহসানুর রহমান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে গাছ কেটে বিক্রি, বদলি বাণিজ্য ও নারীপ্রীতিসহ বিস্তর অভিযোগ। বিএফআরআই এ খোজ নিয়ে জানাগেছে, তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের প্রভাব কাটিয়ে যোগ্য কর্মকর্তা থাকা সত্বেও অতিরিক্ত আরো দুটি (প্লান্টেশান ট্রায়াল ইউনিট বিভাগ বরিশাল ও কাষ্ঠ যোজনা) বিভাগের দায়িত্ব বাগিয়ে নিয়েছেন। শেখ হাসিনার শাসনে দাপটের সঙ্গে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে খবরদারি করেছেন এই আহসানুর রহমান। সম্প্রতি বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগপ্রাপ্ত আউটসোসিং এর বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টাফদের তার অতিরিক্ত আরো দুটি বিভাগের অধীনস্থ সুবিধাজনক স্টেশনগোলোতে বদলি দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ৩ লাখ টাকা। জানাগেছে, আহসানুর রহমান কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় কর্মকর্তা হওয়ার কারণে সেখানকার রেস্ট হাউজকে তিনি তার অধীনস্থ এক কর্মচারীকে দিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ভাড়া দিয়ে আসছে মাসিক সর্বনিন্ম আয় করে যা ৫০ হাজার টাকা। কারণ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) এর কক্সবাজারের এই রেষ্ট হাউজে তেমন আসা যাওয়া করেন না তাই রেষ্ট হাউজটি তেমন ব্যাবহার হয়না বলে তিনি ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে হরিলুট করে যাচ্ছেন। জানাগেছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আট মাস পেরোলেও বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিনটি বিভাগ এখনো আওয়ামীপন্থি বিভাগীয় কর্মকর্তা আহসানুর রহমানের কব্জায় রয়েছে। যোগ্য কর্মকর্তা থাকা সত্বেও আরো দুটি বিভাগের দায়িত্ব ভাগিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন পদ দখল করে থাকার কারণে যোগ্য কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। খবর নিয়ে জানাগেছে, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক একেএম শওকত আলম মজুমদারের আস্থাভাজন হওয়ার কারণে আহসানুর রহমান আওয়ামী সরকারের প্রভাব বিস্তারকারী হয়েও তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে তার স্বপদে। যোগ্য কর্মকর্তা থাকা সত্বেও আরো দুটি বিভাগের দায়িত্ব ভাগিয়ে নিলেও অন্য বিভাগগুলোতে তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকতে পারেন না। ফলে অফিসের দাপ্তরিক কাজের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে।
০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম: