Dhaka ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গুনিয়া চলেছে নিজাম হাজারীর সহযোগী ইসমাইল বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম

  • আপডেট: ১২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • 16

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ক্রমেই বেড়েই চলেছে ফেনীর নিজাম হাজারীর সহযোগী ইসমাইল বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এলাকাবাসী দিন দিন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই বাহিনীর অপরাধী কার্যক্রমের কারণে। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ, ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে ইসমাইল বাহিনী। রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রশাসনের অবহেলায় সংঘটিত হচ্ছে এবং দিন দিন এসব অপরাধ বেড়েই চলেছে। ইসমাইল (৫০), পিতা মৃত রফিক আহাম্মদ, পশ্চিম সরফভাটা, মীরেরখীল পাইট্যাইল্লাকুল রাঙ্গুনিয়ার অধিবাসী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত। ২০০৩/২০০৪ সালে তিনি অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এবং কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দী ছিলেন। তবে জামিনে মুক্তির পর তিনি বিদেশে পাড়ি দেন। দুবাইয়ে বসবাসকালে তিনি দুবাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ইসমাইল, ফেনীর নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, ইসমাইল বাহিনীর মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে একাধিক অপরাধের সিন্ডিকেট। বালুর মহাল দখল, বনভূমি উজাড়, ভূমিদস্যুতা, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি এই বাহিনীর অন্যতম কার্যকলাপ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন এসব অপরাধে নজর না দিয়ে একপ্রকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তার অভাবে ইসমাইল বাহিনী এলাকার মানুষের জীবনে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ইসমাইল বর্তমানে দলীয় রাজনীতির বাইরে হলেও, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জানাগেছে, বিগত আওয়ামী সরকার আমলে ফেনীর নিজাম হাজারীর সাথে ইসমাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, তারা এসব অপকর্মের বিষয়ে অবগত নন এবং তাদের অজান্তেই এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। তবে, তারা দাবি করেছেন যে শীঘ্রই দলের হাই কমান্ডকে বিষয়টি জানিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের মতে, প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা উল্লেখ করেছেন, প্রশাসন যদি দ্রæত পদক্ষেপ না নেয়, তবে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইসমাইল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার শান্তি নষ্ট করে চলেছে। নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড, যার মধ্যে রয়েছে চুরি, ডাকাতি, হত্যাকান্ড, এবং ভূমিদস্যুতায় অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই বাহিনীর দমনমূলক কাজকর্মের কারণে অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং বিপদগ্রস্ত। কেউ যেন ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের দাবি, প্রশাসন দ্রত এই বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

সর্বাধিক পঠিত

রাখাইনে বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৪০, বাড়ার শঙ্কা

রাঙ্গুনিয়া চলেছে নিজাম হাজারীর সহযোগী ইসমাইল বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম

আপডেট: ১২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ক্রমেই বেড়েই চলেছে ফেনীর নিজাম হাজারীর সহযোগী ইসমাইল বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এলাকাবাসী দিন দিন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই বাহিনীর অপরাধী কার্যক্রমের কারণে। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ, ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে ইসমাইল বাহিনী। রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রশাসনের অবহেলায় সংঘটিত হচ্ছে এবং দিন দিন এসব অপরাধ বেড়েই চলেছে। ইসমাইল (৫০), পিতা মৃত রফিক আহাম্মদ, পশ্চিম সরফভাটা, মীরেরখীল পাইট্যাইল্লাকুল রাঙ্গুনিয়ার অধিবাসী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত। ২০০৩/২০০৪ সালে তিনি অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এবং কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দী ছিলেন। তবে জামিনে মুক্তির পর তিনি বিদেশে পাড়ি দেন। দুবাইয়ে বসবাসকালে তিনি দুবাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ইসমাইল, ফেনীর নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, ইসমাইল বাহিনীর মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে একাধিক অপরাধের সিন্ডিকেট। বালুর মহাল দখল, বনভূমি উজাড়, ভূমিদস্যুতা, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি এই বাহিনীর অন্যতম কার্যকলাপ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন এসব অপরাধে নজর না দিয়ে একপ্রকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তার অভাবে ইসমাইল বাহিনী এলাকার মানুষের জীবনে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ইসমাইল বর্তমানে দলীয় রাজনীতির বাইরে হলেও, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জানাগেছে, বিগত আওয়ামী সরকার আমলে ফেনীর নিজাম হাজারীর সাথে ইসমাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, তারা এসব অপকর্মের বিষয়ে অবগত নন এবং তাদের অজান্তেই এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। তবে, তারা দাবি করেছেন যে শীঘ্রই দলের হাই কমান্ডকে বিষয়টি জানিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের মতে, প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা উল্লেখ করেছেন, প্রশাসন যদি দ্রæত পদক্ষেপ না নেয়, তবে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইসমাইল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার শান্তি নষ্ট করে চলেছে। নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড, যার মধ্যে রয়েছে চুরি, ডাকাতি, হত্যাকান্ড, এবং ভূমিদস্যুতায় অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই বাহিনীর দমনমূলক কাজকর্মের কারণে অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং বিপদগ্রস্ত। কেউ যেন ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের দাবি, প্রশাসন দ্রত এই বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।