Dhaka ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের গুম-খুনের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি: ডিজি

  • আপডেট: ০৪:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 31

মিশু দাশ : পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, আজ পর্যন্ত যারা র‌্যাবের হাতে নির্যাতিত বা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাদের কাছে এবং নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ র‌্যাবের দ্বারা যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তাদের পরিবারের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি। বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কাওরানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার যেন হয়, সেটা প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন র‌্যাব ডিজি। তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকার গুম-খুন কমিশন গঠন করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এসব বিষয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হতে চাই। আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো, কারও নির্দেশে এসব অপরাধে র‌্যাব আর জড়িত হবে না সেটি আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। সম্প্রতি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে দাবি তুলেছে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনে নেওয়া হবে। তবে যতদিন দায়িত্বে থাকবেন, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, র‌্যাবে আয়নাঘর থাকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়টিও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তদন্ত করছে। তদন্তে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। র‌্যাবের নিজস্ব একটি আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটির ডিজি বলেন, ‘র‌্যাবের নিজস্ব কোনও আইন নেই। পুলিশ আইনে র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যাবের জন্য আমরা আলাদা একটি আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এছাড়া আর কোনও কোনও বিষয় সংস্কার করা যায় সেজন্য গণমাধ্যম ও জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের ডিজি। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার সম্পৃক্ততা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধে এই ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‌্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৩৫ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত

কাদের গনি চৌধুরী সত্যের মশাল নিয়ে এগিয়ে চলা এক সাংবাদিক নেতা

র‌্যাবের গুম-খুনের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি: ডিজি

আপডেট: ০৪:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

মিশু দাশ : পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, আজ পর্যন্ত যারা র‌্যাবের হাতে নির্যাতিত বা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাদের কাছে এবং নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ র‌্যাবের দ্বারা যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তাদের পরিবারের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি। বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কাওরানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার যেন হয়, সেটা প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন র‌্যাব ডিজি। তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকার গুম-খুন কমিশন গঠন করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এসব বিষয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হতে চাই। আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো, কারও নির্দেশে এসব অপরাধে র‌্যাব আর জড়িত হবে না সেটি আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। সম্প্রতি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে দাবি তুলেছে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনে নেওয়া হবে। তবে যতদিন দায়িত্বে থাকবেন, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, র‌্যাবে আয়নাঘর থাকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়টিও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তদন্ত করছে। তদন্তে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। র‌্যাবের নিজস্ব একটি আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটির ডিজি বলেন, ‘র‌্যাবের নিজস্ব কোনও আইন নেই। পুলিশ আইনে র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যাবের জন্য আমরা আলাদা একটি আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এছাড়া আর কোনও কোনও বিষয় সংস্কার করা যায় সেজন্য গণমাধ্যম ও জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের ডিজি। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার সম্পৃক্ততা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধে এই ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‌্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৩৫ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।