টাঙ্গাইল (মির্জাপুর) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুর বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি ও ফিলিং স্টেশনের অনুমান ১০০ গজ পূর্ব পাশে জনৈক আব্বাছ আলীর বাড়ীর উত্তর পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইল গামী লেনে অজ্ঞাতনামা ৪ জন দুষ্কৃতিকারী ট্রাক ড্রাইভার নাজমুল আজিমুল (৩৫) কে বুকের ডান পাশে, বাম পাশের বুকের উপরে কাধের নিচে ও বাম হাতের বাহুর জয়েন্টের উপর ধারালো অস্ত্র দ্বারা এলোপাথারী আঘাত করে পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাত ড্রাইভারকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়া যাওয়ায় চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়। এই সংক্রান্তে মির্জাপুর থানায় মামলা হলে দু’দিনের মধ্যেই আসামীদের গ্রেফতার করেন মির্জাপুর থানা পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল মহোদয়ের এর দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), টাঙ্গাইল এবং সহকারী পুলিশ সুপার, মির্জাপুর সার্কেল, টাঙ্গাইলন্বয় এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মির্জাপুর থানা, টাঙ্গাইল এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/অটল কুমার দাস, এসআই (নিঃ)/মোঃ আবুল বাশার মোল্লা, এসআই(নিঃ)/আব্দুল করিম, এসআই (নিঃ)/ সোহেল মিয়াসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করার লক্ষ্যে মির্জাপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল নিরলস চেষ্টা চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে।
এতে ছয়জন আসামীদের বাড়ি নিজ উপজেলায় মির্জাপুরে। এতে আসামীরা হলেন, বাইমহাটি মাষ্টারপাড়ার মো: সাইদ কুলের ছেলে নাদিম একই এলাকার বাইমহাটির মৃত সামাদ আলী ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২৩) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ ফজল (৩৯)। বান্দরমারা, ত্রিমোহন গ্রামের পাষান খানের ছেলে সাদ্দাম। বাগজান গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মোঃ লাভলু মিয়া (৩১)। সিংজুরি গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল (৩২)। এদিকে এস, এম, মনসুর মুসা, সহকারী পুলিশ সুপার, মির্জাপুর সার্কেল জানান যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ।সকল ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সহিত জড়িত অপরাধীদের ধরতে মির্জাপুর থানায় এ ধরনের অপারেশন ও গ্রেফতার অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।