লোহাগাড়া প্রতিনিধি: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, চুনতি অভয়ারণ্য আজ ক্ষতবিক্ষত। উন্নয়নের নামে চুনতি অভয়ারণ্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। ২০১২ সালের জাতিসংঘের ইক্যুয়েটর পুরস্কারপ্রাপ্ত এ বনের ভেতর রেল লাইন স্থাপন করে জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে ফেলা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বর্তমান অবস্থা ও করনীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ধরত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি সুলতানা কামাল। চুনতি রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়ক এবং ধরার সদস্য সানজিদা রহমানের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী এবং ধরার আহ্বায়ক কমিটির সহ আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ। সভায় বক্তারা বলেন, এশিয়ান হাতির অন্যতম আবাসস্থল চুনতি অভয়ারণ্যে অসংখ্য রোহিঙ্গা বসতি সৃষ্টি হয়েছে, যা বনের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। এছাড়া বৃক্ষ সম্পদ উজাড় , পাহাড়া কাটা, বনের ছড়া থেকে বালু উত্তোলন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের বনের জায়গা দখল চুনতি অভয়ারণ্যকে দিন দিন সংকুচিত করছে। সর্বশেষ বনের ভেতর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ চুনতি বনের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এছাড়া বনবিভাগের কর্মকর্তারাও বন রক্ষাকে খুব গুরুত্বসহকারে দেখেন না। অনেক অসাধু কর্মকর্তা বনের ক্ষতির সাথে জড়িত।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিল, চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সিএমসির সভাপতি আনোয়ার কামাল, অরণ্য সংগঠনের নিয়াজুর রহমান খান, আব্দুল কাইয়ুম, মুজিবুর রহমান, লোহাগাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক পুষ্পেন চৌধুরী, জাহেদুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন রানা প্রমুখ।