০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

  • আপডেট: ০৬:০৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • 23

মিশু দাশ : টানা পাঁচ দিনের পূজা-অর্চনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বির্সজন দেওয়া হয়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অপেক্ষা করে বিকেল থেকেই ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টার বাজনার তালে তালে রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও মহল্লা থেকে শোভাযাত্রা করে প্রতিমাগুলো বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আনা হয়। পরে নৌকাযোগে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় নদীর মাঝখানে, সেখানে সম্পন্ন করা হয় বিসর্জন। এদিকে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে রাজধানীতে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) ফারুক হোসেন জানান, শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় দুই হাজার ৪০০ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাট এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে তিনটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার। প্রতিটি প্রতিমাকে পুলিশি পাহারায় নদীর ঘাটে আনা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম ও বিশেষ ইউনিট রয়েছে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত। নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌ পুলিশ, নৌ ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস টিমও রয়েছে সতর্ক টহলে। এছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম। সনাতন ধর্মাবলীরদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে দেবী দুর্গা স্বামীর বাড়ি কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে পিতৃগৃহে আগমন করেন। পক্ষকাল পর তিনি ফিরে যান স্বামীগৃহে। এ পাঁচদিন ভক্তরা দেবীর বন্দনা, পূজা ও উৎসবে মেতে ওঠেন। আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

সর্বাধিক পঠিত

ফটিকছড়িন ধর্মপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

আপডেট: ০৬:০৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

মিশু দাশ : টানা পাঁচ দিনের পূজা-অর্চনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বির্সজন দেওয়া হয়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অপেক্ষা করে বিকেল থেকেই ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টার বাজনার তালে তালে রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও মহল্লা থেকে শোভাযাত্রা করে প্রতিমাগুলো বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আনা হয়। পরে নৌকাযোগে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় নদীর মাঝখানে, সেখানে সম্পন্ন করা হয় বিসর্জন। এদিকে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে রাজধানীতে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) ফারুক হোসেন জানান, শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় দুই হাজার ৪০০ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাট এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে তিনটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার। প্রতিটি প্রতিমাকে পুলিশি পাহারায় নদীর ঘাটে আনা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম ও বিশেষ ইউনিট রয়েছে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত। নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌ পুলিশ, নৌ ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস টিমও রয়েছে সতর্ক টহলে। এছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম। সনাতন ধর্মাবলীরদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে দেবী দুর্গা স্বামীর বাড়ি কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে পিতৃগৃহে আগমন করেন। পক্ষকাল পর তিনি ফিরে যান স্বামীগৃহে। এ পাঁচদিন ভক্তরা দেবীর বন্দনা, পূজা ও উৎসবে মেতে ওঠেন। আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।