Dhaka ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাস্তায় নেমেছি: তারাগঞ্জে শেখ হাসিনা

তপন তালুকদার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে নৌকায় ভোট চাইতে রংপুরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে তিনি রংপুরে পৌঁছে তারাগঞ্জ ওয়াকফ স্টেট সরকারি কলেজ মাঠের জনসভায় যোগ দেন। এ জনসভায় মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।

জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মা-বাবা, ভাইসহ সব স্বজনদের হারিয়ে সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের প্রতিটি জেলার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করাই সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশে আর কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।

ওইদিন সকাল সকাল সবাইকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আর নৌকা নূহ নবীর নৌকা মার্কা। সেই মহাপ্লাবনের সময় মানুষকে বাঁচিয়েছিল। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উত্তরবঙ্গ মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়েছে। রংপুর এখন আর মঙ্গা পিরীত নেই। মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। এই নৌকা মার্কায় আপনাদের জীবন-মান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরও একবার সুযোগ দেবেন। যাতে আপনাদের জীবন সমৃদ্ধ করতে পারি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মা-বাবা, ভাইসহ সব স্বজনদের হারিয়েছে। সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এরপর আবার আসিব ফিরে ধান সিড়িটির তীরে এই তারাগঞ্জ বদরগঞ্জে বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং পীরগঞ্জের জনসভাস্থলের দিকে সমবেত হতে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। স

কাল থেকেই মিছিলে করে নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেন। রিকশা-ভ্যান কিংবা পায়ে হেঁটে দলে দলে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন তারা।

এদিকে তারাগঞ্জের জনসভা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সড়কপথে পীরগঞ্জের ফতেহপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। যাবার পথে তিনি রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী রাশেক রহমানের নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে তিনি পীরগঞ্জের ফতেহপুরে তার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। সেখানেই তিনি দুপুরের খাবার খাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেবেন।

সর্বাধিক পঠিত

সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন দুই উপদেষ্টা

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাস্তায় নেমেছি: তারাগঞ্জে শেখ হাসিনা

আপডেট: ০১:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

তপন তালুকদার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে নৌকায় ভোট চাইতে রংপুরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে তিনি রংপুরে পৌঁছে তারাগঞ্জ ওয়াকফ স্টেট সরকারি কলেজ মাঠের জনসভায় যোগ দেন। এ জনসভায় মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।

জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মা-বাবা, ভাইসহ সব স্বজনদের হারিয়ে সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের প্রতিটি জেলার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করাই সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশে আর কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।

ওইদিন সকাল সকাল সবাইকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আর নৌকা নূহ নবীর নৌকা মার্কা। সেই মহাপ্লাবনের সময় মানুষকে বাঁচিয়েছিল। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উত্তরবঙ্গ মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়েছে। রংপুর এখন আর মঙ্গা পিরীত নেই। মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। এই নৌকা মার্কায় আপনাদের জীবন-মান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরও একবার সুযোগ দেবেন। যাতে আপনাদের জীবন সমৃদ্ধ করতে পারি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মা-বাবা, ভাইসহ সব স্বজনদের হারিয়েছে। সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এরপর আবার আসিব ফিরে ধান সিড়িটির তীরে এই তারাগঞ্জ বদরগঞ্জে বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং পীরগঞ্জের জনসভাস্থলের দিকে সমবেত হতে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। স

কাল থেকেই মিছিলে করে নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেন। রিকশা-ভ্যান কিংবা পায়ে হেঁটে দলে দলে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন তারা।

এদিকে তারাগঞ্জের জনসভা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সড়কপথে পীরগঞ্জের ফতেহপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। যাবার পথে তিনি রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী রাশেক রহমানের নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে তিনি পীরগঞ্জের ফতেহপুরে তার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। সেখানেই তিনি দুপুরের খাবার খাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেবেন।