মিশু দাশ: ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে দেশে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় তালিকায় গুরুত্বপুর্ন পণ্য পেঁয়াজের বাজার।
গতকাল ৯ ডিসেম্বর শনিবার থেকে পণ্যটি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে একেক জায়গায় বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। শনিরআখড়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। এছাড়াও এ এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে।
ক্রেতারা বলছেন, একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দিগুণ হয়ে গেলো, এগুলো দেখার কী আদৌ কেউ আছে? বাজারে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই, আছে শুধু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ।
বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির ব্যাপারে খুচরা ব্যাবসায়ীরা বলছেন, তাদের কিছু করার নাই। পাইকারি বাজারে দাম অনেক বেশি চলছে, আমরা কি করব? পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেনন, ভারত পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করার খবরে সাপ্লাই কমে গেছে। সাপ্লাই কমলে বাজারে তো দাম বাড়বই। আমরা আড়তে ২২০ টাকা দরে বেচতোছি। মনে হইতাছে দাম আরও বাড়বো। এদিকে, পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল ৯ ডিসেম্বর শনিবার সারাদেশে এ অভিযানে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সরকারি এই তদারকি সংস্থাটি। নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্চ মাস পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে। এই নির্দেশনা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবে বলে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) আদেশে জানানো হয়েছে।
তবে এরই মধ্যে যারা পেঁয়াজ আমদানির এলসি চালু করেছেন, তাদের মধ্যে যারা আদেশ জারির আগেই পণ্য জাহাজিকরণ শুরু করেছেন, তারা এর আওতামুক্ত থাকবেন।