Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের আতঙ্কের নাম মাদক সম্রাট সবুজ

  • প্রদীপ নাথ
  • Update Time : ০১:২৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • 32

প্রদীপ নাথ, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এখন সবুজ মিয়া। এক সময়ের সিএনজি অটোরিক্সা চালক এখন মাদকের (ইয়াবা) বড় ডিলার। সিএনজি অটোরিক্সা চালক থেকে মাদক ব্যবসায় তার রদবদল জোরারগঞ্জ থানাধীন করেরহাট এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদকের বড় মাপের ডিলার জামালের এর হাত ধরেই।

জোরারগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকায় জামাল এখন বসবাস করছেন ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের ২ নং ইসলামপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে। মাদকের বড় মাপের এই ডিলার জামালের হাত ধরেই দাঁতমারা ইউনিয়নের ২ নং ইসলামপুর গ্রামের রাবার চোর আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ মিয়া ঝুকে পড়ে মাদকের (ইয়াবা) ব্যবসায়। শুরু করে মাদকের ব্যবসা। শুরুর দিকে সেলসম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও একসময় বনে যায় ডিলার জামালের এর ডান হাত। তার পরেই ইউনিয়নের ইসলাম গ্রাম ও হোসেনেরখীল এলাকায় আধিপত্য এবং মাদক ব্যবসা বিস্তার করতে শুরু করেন গরু চুরি, ডাকাতি ও রাবার বাগানের জায়গা দখল।

বর্তমানে তার দখলে রয়েছে দাঁতমারা রাবার বাগানের বিশাল জায়গা। সেই থেকেই উত্থান সবুজ মিয়ার। আর পিছনে ফিরতে হয়নি থাকে বনে যায় একজন দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী এবং নিজেই শুরু করেন মাদকের বড় বড় ডিলিং। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারও হয়। জেল থেকে বের হয়েই সে আরও জোরালো ভাবে বিস্তার করতে থাকে তার অপরাধ সাম্রাজ্য এবং বনে যায় ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের অপরাধ ও মাদক সাম্রাজ্যের মুকুট বিহিন রাজা। এখন সে নিজেই মাদকের বড় ডিলার এবং পালেন ডজন খানেক সেলসম্যান এবং এই সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে তার আপন ছোট ভাই দিদারকে দিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি বিশাল সশস্ত্র বাহিনী। মেয়েদের উত্যক্ত, ছিনতাই, ডাকাতি, খামার থেকে লুটপাট থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপকর্ম তার নিত্যদিনের কাজ।

তার বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় মাদক মামলা ও ইউসূফ এগ্রো খামার থেকে গরু চুরি করার মামলা। জানা গেছে, ইউসূফ এগ্রো খামার থেকে গরু চুরির মামলায় সবুজ মিয়াসহ ডিলার জামালর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেওয়া হয় ভূজপুর থানায়। কিন্তু ভূজপুর থানা সদ্য বিদায়ী ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী টাকা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো হয়রানী করেন মামলার বাদীকে। এ থেকে সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে কেউ এর প্রতিবাদ করলে হতে হয় তাদের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার।

ভূজপুর থানায় থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার অভিযান সবসময় থাকবে।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের আতঙ্কের নাম মাদক সম্রাট সবুজ

Update Time : ০১:২৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

প্রদীপ নাথ, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এখন সবুজ মিয়া। এক সময়ের সিএনজি অটোরিক্সা চালক এখন মাদকের (ইয়াবা) বড় ডিলার। সিএনজি অটোরিক্সা চালক থেকে মাদক ব্যবসায় তার রদবদল জোরারগঞ্জ থানাধীন করেরহাট এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদকের বড় মাপের ডিলার জামালের এর হাত ধরেই।

জোরারগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকায় জামাল এখন বসবাস করছেন ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের ২ নং ইসলামপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে। মাদকের বড় মাপের এই ডিলার জামালের হাত ধরেই দাঁতমারা ইউনিয়নের ২ নং ইসলামপুর গ্রামের রাবার চোর আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ মিয়া ঝুকে পড়ে মাদকের (ইয়াবা) ব্যবসায়। শুরু করে মাদকের ব্যবসা। শুরুর দিকে সেলসম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও একসময় বনে যায় ডিলার জামালের এর ডান হাত। তার পরেই ইউনিয়নের ইসলাম গ্রাম ও হোসেনেরখীল এলাকায় আধিপত্য এবং মাদক ব্যবসা বিস্তার করতে শুরু করেন গরু চুরি, ডাকাতি ও রাবার বাগানের জায়গা দখল।

বর্তমানে তার দখলে রয়েছে দাঁতমারা রাবার বাগানের বিশাল জায়গা। সেই থেকেই উত্থান সবুজ মিয়ার। আর পিছনে ফিরতে হয়নি থাকে বনে যায় একজন দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী এবং নিজেই শুরু করেন মাদকের বড় বড় ডিলিং। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারও হয়। জেল থেকে বের হয়েই সে আরও জোরালো ভাবে বিস্তার করতে থাকে তার অপরাধ সাম্রাজ্য এবং বনে যায় ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের অপরাধ ও মাদক সাম্রাজ্যের মুকুট বিহিন রাজা। এখন সে নিজেই মাদকের বড় ডিলার এবং পালেন ডজন খানেক সেলসম্যান এবং এই সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে তার আপন ছোট ভাই দিদারকে দিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি বিশাল সশস্ত্র বাহিনী। মেয়েদের উত্যক্ত, ছিনতাই, ডাকাতি, খামার থেকে লুটপাট থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপকর্ম তার নিত্যদিনের কাজ।

তার বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় মাদক মামলা ও ইউসূফ এগ্রো খামার থেকে গরু চুরি করার মামলা। জানা গেছে, ইউসূফ এগ্রো খামার থেকে গরু চুরির মামলায় সবুজ মিয়াসহ ডিলার জামালর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেওয়া হয় ভূজপুর থানায়। কিন্তু ভূজপুর থানা সদ্য বিদায়ী ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী টাকা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো হয়রানী করেন মামলার বাদীকে। এ থেকে সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে কেউ এর প্রতিবাদ করলে হতে হয় তাদের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার।

ভূজপুর থানায় থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার অভিযান সবসময় থাকবে।