Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • 43

প্রদীপ নাথ, সূর্যোদয়: আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এ রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। একই সময়ে তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনেরও উদ্বোধন করেছেন।

আজ ১১ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টায় তিনি রেলপথ ও রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াসে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার। আজকের দিনটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম ও বিরল সমুদ্র সৈকত। সাধারণত এই ধরনের সমুদ্র সৈকত এবং বালুকাময় সমুদ্র সৈকত আর নেই। এখানে রেল সংযোগ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিলো, সেটা পূরণ হলো।

এই রেল সংযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করলো আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগই ছিল না। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হয়েছে। প্রকল্পের জন্য দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার অংশে কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ১০টি স্টেশন। এগুলো হলো- কক্সবাজার, রামু, ইসলামাবাদ, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারী।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০১:১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

প্রদীপ নাথ, সূর্যোদয়: আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এ রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। একই সময়ে তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনেরও উদ্বোধন করেছেন।

আজ ১১ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টায় তিনি রেলপথ ও রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াসে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার। আজকের দিনটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম ও বিরল সমুদ্র সৈকত। সাধারণত এই ধরনের সমুদ্র সৈকত এবং বালুকাময় সমুদ্র সৈকত আর নেই। এখানে রেল সংযোগ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিলো, সেটা পূরণ হলো।

এই রেল সংযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করলো আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগই ছিল না। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হয়েছে। প্রকল্পের জন্য দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার অংশে কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ১০টি স্টেশন। এগুলো হলো- কক্সবাজার, রামু, ইসলামাবাদ, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারী।