Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 40

তপন তালুকদার, সূর্যোদয়: আজ ৪ নভেম্বর শনিবার আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চারবার। নবম জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন পাট বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি ১৯৪৫ সালে আনোয়ারার হাইলধর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নুরুজ্জামান চৌধুরী। মাতা খোরশেদা বেগম। ১৯৫৮ সালে পটিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে নটরডেম কলেজে ভর্তি হন আখতারুজ্জামান বাবু। পরে ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন।

রাজনৈতিক জীবনে ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন বাবু। ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তার পাথরঘাটাস্থ জুপিটার হাউজ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাÐ পরিচালিত হত। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের আসার পর জুপিটার হাউস থেকে সাইক্লোস্টাইল করে প্রচার করা হয়। তার বাসা থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ সব জায়গায় পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আখতারুজ্জামান বাবু ভারতে যান এবং সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে তিনি বিশ্বজনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল সফর করেন। তিনি প্রথম লন্ডনে যান। সেখান থেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমেরিকায় যান। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন, আখতারুজ্জামান বাবু ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। তিনি ‘৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম স্বাক্ষরকারী। এ উপলক্ষে তার পরিবার, উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে।

আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, কবর জেয়ারত, বিশেষ মোনাজাত, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তবারুক বিতরণ।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Update Time : ০২:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

তপন তালুকদার, সূর্যোদয়: আজ ৪ নভেম্বর শনিবার আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চারবার। নবম জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন পাট বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি ১৯৪৫ সালে আনোয়ারার হাইলধর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নুরুজ্জামান চৌধুরী। মাতা খোরশেদা বেগম। ১৯৫৮ সালে পটিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে নটরডেম কলেজে ভর্তি হন আখতারুজ্জামান বাবু। পরে ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন।

রাজনৈতিক জীবনে ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন বাবু। ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তার পাথরঘাটাস্থ জুপিটার হাউজ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাÐ পরিচালিত হত। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের আসার পর জুপিটার হাউস থেকে সাইক্লোস্টাইল করে প্রচার করা হয়। তার বাসা থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ সব জায়গায় পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আখতারুজ্জামান বাবু ভারতে যান এবং সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে তিনি বিশ্বজনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল সফর করেন। তিনি প্রথম লন্ডনে যান। সেখান থেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমেরিকায় যান। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন, আখতারুজ্জামান বাবু ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। তিনি ‘৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম স্বাক্ষরকারী। এ উপলক্ষে তার পরিবার, উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে।

আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, কবর জেয়ারত, বিশেষ মোনাজাত, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তবারুক বিতরণ।