Dhaka ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ মহানবমী, কাল দশমীতে দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাবেন

  • আপডেট: ০৩:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • 60

মিশু দাশ, সূর্যোদয়: আজ মহানবমী। কাল দশমীতে দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাবেন। তাই আজ নবমীর রাতেই  মণ্ডপে মণ্ডপে বেজে উঠবে বিদায়ের ঘণ্টা। নবমী হচ্ছে দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। নবমী তিথি শুরু হয়েছে সন্ধিপূজার মাধ্যমে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলে মোট ৪৮ মিনিটে পালিত হয়ে থাকে সন্ধিপূজা। মূলত এ সময় করা হয় দেবী চামুণ্ডার পূজা। কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা পালন করা হয় নবমী তিথিতে। বলা হয়, অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে নবমীর পুণ্য তিথিতে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমীর সকাল মানে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি। শ্রী রামচন্দ্র দুর্গার শক্তি আর আশীর্বাদ নিয়ে এই দিনে অশুভ রাবণকে বিনাশ করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়।

মূলত নবমীর দিনই পূজার শেষ হয়। তবে বিজয়া দশমীর দিনেও কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। বিজয়া দশমীতে দুর্গা দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া সধবা নারীরা মত্ত হন সিঁদুর খেলায়। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে মাকে বিদায় জানানোর জন্যই সিঁদুর খেলা। মাকে বিসর্জনের আগ পর্যন্ত তারা একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে মিষ্টিমুখ করেন, নাচগান করেন। যেন সারাটা বছর এমন আনন্দেই কাটে, হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়। স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা নিজ কপালে সিঁদুর লাগান। সেই সিঁদুরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরণ স্পর্শ করে থাকেন। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখেন। দুর্গা আগামী বছর আবার সঙ্গে করে শাখা সিঁদুর সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

সর্বাধিক পঠিত

আজ মহানবমী, কাল দশমীতে দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাবেন

আপডেট: ০৩:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

মিশু দাশ, সূর্যোদয়: আজ মহানবমী। কাল দশমীতে দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাবেন। তাই আজ নবমীর রাতেই  মণ্ডপে মণ্ডপে বেজে উঠবে বিদায়ের ঘণ্টা। নবমী হচ্ছে দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। নবমী তিথি শুরু হয়েছে সন্ধিপূজার মাধ্যমে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলে মোট ৪৮ মিনিটে পালিত হয়ে থাকে সন্ধিপূজা। মূলত এ সময় করা হয় দেবী চামুণ্ডার পূজা। কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা পালন করা হয় নবমী তিথিতে। বলা হয়, অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে নবমীর পুণ্য তিথিতে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমীর সকাল মানে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি। শ্রী রামচন্দ্র দুর্গার শক্তি আর আশীর্বাদ নিয়ে এই দিনে অশুভ রাবণকে বিনাশ করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়।

মূলত নবমীর দিনই পূজার শেষ হয়। তবে বিজয়া দশমীর দিনেও কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। বিজয়া দশমীতে দুর্গা দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া সধবা নারীরা মত্ত হন সিঁদুর খেলায়। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে মাকে বিদায় জানানোর জন্যই সিঁদুর খেলা। মাকে বিসর্জনের আগ পর্যন্ত তারা একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে মিষ্টিমুখ করেন, নাচগান করেন। যেন সারাটা বছর এমন আনন্দেই কাটে, হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়। স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা নিজ কপালে সিঁদুর লাগান। সেই সিঁদুরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরণ স্পর্শ করে থাকেন। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখেন। দুর্গা আগামী বছর আবার সঙ্গে করে শাখা সিঁদুর সঙ্গে নিয়ে আসবেন।