Dhaka ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের অধ্যায়: মেহেদী হাসান কামরুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • 42

মোঃ বাবুল শেখ, স্টাফ রিপোর্টার : ১৫ আগস্টকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছেন আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান কামরুল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে খুনিরা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। মূলত বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামো। তারপর ঘটনাক্রমে ক্ষমতা গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ এবং বেগম খালেদা জিয়া। তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থেমে যায় । সদ্য স্বাধীন সার্বভৌমত্বকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর পরবর্তী শাসকরা সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

ঘাতকরা নিজেদের এবং পরিবারের উন্নয়নের চিন্তায় দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভুলে যায়। দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৬ সালে আবার ক্ষমতায় আসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো তিনি সমাপ্ত করার উদ্যোগ নেন। তিনি সফল হন বাঙালি জাতি তার প্রতি আস্থা রাখে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় আক্রান্ত হয়ে পুনরায় তাকে বিরোধীদলের আসনে বসতে হয়। বাঙালি বুঝতে পারে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। অবশেষে সেই ষড়যন্ত্র ভেদ করে ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের পর আবার ক্ষমতায় আসে আমার নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে দেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ যাবতীয় সেক্টরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত। আজকের প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেন সেই একই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ১৯৭৫ এর খুনিরা তাকে হত্যার মাধ্যমে সেই স্বপ্নকে ভুলুণ্ঠিত করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত ছিল এবং সরাসরি যারা হত্যায় জড়িত তাদের অনেককেই বিচারের আওতায় এনেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশে পলাতক বাকি খুনিদেরকেও দ্রæত দেশে ফিরিয়ে এনে যথাযথ বিচারের মাধ্যমে এই জঘন্যতম অপরাধের শাস্তি প্রদান করা হবে ইনশাল্লাহ।

আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান কামরুল আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আমি বলবো প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখতে। যেন ২০৪১ সালের ভিতরে আমরা উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হতে পারি। এ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, নিরাপদ থাকবে বাংলাদেশ। তিনি ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি মাগফেরাত কামনা করেন ।

Tag :

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের অধ্যায়: মেহেদী হাসান কামরুল

Update Time : ০২:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

মোঃ বাবুল শেখ, স্টাফ রিপোর্টার : ১৫ আগস্টকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছেন আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান কামরুল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে খুনিরা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। মূলত বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামো। তারপর ঘটনাক্রমে ক্ষমতা গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ এবং বেগম খালেদা জিয়া। তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থেমে যায় । সদ্য স্বাধীন সার্বভৌমত্বকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর পরবর্তী শাসকরা সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

ঘাতকরা নিজেদের এবং পরিবারের উন্নয়নের চিন্তায় দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভুলে যায়। দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৬ সালে আবার ক্ষমতায় আসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো তিনি সমাপ্ত করার উদ্যোগ নেন। তিনি সফল হন বাঙালি জাতি তার প্রতি আস্থা রাখে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় আক্রান্ত হয়ে পুনরায় তাকে বিরোধীদলের আসনে বসতে হয়। বাঙালি বুঝতে পারে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। অবশেষে সেই ষড়যন্ত্র ভেদ করে ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের পর আবার ক্ষমতায় আসে আমার নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে দেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ যাবতীয় সেক্টরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত। আজকের প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেন সেই একই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ১৯৭৫ এর খুনিরা তাকে হত্যার মাধ্যমে সেই স্বপ্নকে ভুলুণ্ঠিত করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত ছিল এবং সরাসরি যারা হত্যায় জড়িত তাদের অনেককেই বিচারের আওতায় এনেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশে পলাতক বাকি খুনিদেরকেও দ্রæত দেশে ফিরিয়ে এনে যথাযথ বিচারের মাধ্যমে এই জঘন্যতম অপরাধের শাস্তি প্রদান করা হবে ইনশাল্লাহ।

আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান কামরুল আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আমি বলবো প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখতে। যেন ২০৪১ সালের ভিতরে আমরা উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হতে পারি। এ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, নিরাপদ থাকবে বাংলাদেশ। তিনি ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি মাগফেরাত কামনা করেন ।