Dhaka ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এস আলমের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • 38

সূর্যোদয় ডেস্ক : অনুমতি ছাড়া বিদেশে অর্থ স্থানান্তর বিষয়ে এস আলম গ্রæপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ ঘটনার অনুসন্ধান করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই অর্থপাচার ঠেকাতে বিএফআইইউ, দুদক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বে আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রবিবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে এস আলমের অর্থপাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও অনুমতি তিনি নেননি। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই। কাগজপত্রে আরও দেখা যায়, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১০ ভাগের এক ভাগ মাত্র।

Tag :

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

এস আলমের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

Update Time : ০৩:২৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

সূর্যোদয় ডেস্ক : অনুমতি ছাড়া বিদেশে অর্থ স্থানান্তর বিষয়ে এস আলম গ্রæপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ ঘটনার অনুসন্ধান করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই অর্থপাচার ঠেকাতে বিএফআইইউ, দুদক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বে আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রবিবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে এস আলমের অর্থপাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও অনুমতি তিনি নেননি। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই। কাগজপত্রে আরও দেখা যায়, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১০ ভাগের এক ভাগ মাত্র।