Dhaka ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর বাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যা, স্বামী আটক

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতরা হলেন, মা মাহমুদা হক বৃষ্টি আক্তার (৩৩) ও মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)। এ ঘটনায় বৃষ্টি আক্তারের স্বামী সেলিমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। ১৪ জুন বুধবার বাড্ডা থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৩) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরাজি হাসপাতাল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছাদেক মিয়া জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ফরাজী হাসপাতালে যায়। সেখানে ওই মা-মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। বাসা থেকে তার স্বামী ও স্বজনরা তাদের ওই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সন্দেহ হলে সেখান থেকেই স্বামী সেলিমকে আটক করা হয়। মা-মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টির মামা সোহেল সিকদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরা গ্রামে। পশ্চিম মেরুল বাড্ডার জামশেদ টাওয়ারের ৮ম তলায় থাকতেন তারা। এটি বৃষ্টির স্বামী সেলিমের নিজের বাড়ি।
বৃষ্টির পরিবারের অভিযোগ, সেলিমের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একাধিকবার একাধিক মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। তার জের ধরেই সেলিম তাদের দুইজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন

রাজধানীর বাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যা, স্বামী আটক

Update Time : ০৬:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতরা হলেন, মা মাহমুদা হক বৃষ্টি আক্তার (৩৩) ও মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)। এ ঘটনায় বৃষ্টি আক্তারের স্বামী সেলিমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। ১৪ জুন বুধবার বাড্ডা থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৩) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরাজি হাসপাতাল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছাদেক মিয়া জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ফরাজী হাসপাতালে যায়। সেখানে ওই মা-মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। বাসা থেকে তার স্বামী ও স্বজনরা তাদের ওই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সন্দেহ হলে সেখান থেকেই স্বামী সেলিমকে আটক করা হয়। মা-মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টির মামা সোহেল সিকদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরা গ্রামে। পশ্চিম মেরুল বাড্ডার জামশেদ টাওয়ারের ৮ম তলায় থাকতেন তারা। এটি বৃষ্টির স্বামী সেলিমের নিজের বাড়ি।
বৃষ্টির পরিবারের অভিযোগ, সেলিমের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একাধিকবার একাধিক মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। তার জের ধরেই সেলিম তাদের দুইজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।