সূর্যোদয় প্রতিবেদক : নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে লাখো মানুষ। ঈদ যাত্রায় ঢাকা এখন ফাঁকা। আত্বীয় স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। বাস, ট্রেন, লঞ্চ সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। তবে এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দুর্ভোগ নেই। গত ১৭ এপ্রিল সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদযাত্রা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। এ দিন ভোর থেকে গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও কমলাপুর রেলস্টেশন দেখা যায়, বেশ স্বাচ্ছন্দে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় নেই। টিকিট ছাড়া কেউ প্ল্যাটফরমে ঢুকতে পারছে না। স্টেশনে টিকিটবিহীন যাত্রীর প্রবেশ ঠেকাতে তিন স্তরের তল্লাশির ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, যাত্রী কম নয়, তবে টিকিট ছাড়া যাত্রী না থাকায় কম দেখাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় জটলা তৈরি হচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সঙ্গে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বরাদ্দ থাকছে। তবে বাসে যাত্রীর চাপ আজ বেশি। মহাখালী বাস টার্মিনালে সকাল থেকে যাত্রীর চাপ ছিল। আজ সবচেয়ে বেশি যাত্রী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা যায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। সেখানকার পরিবহনগুলোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অবশ্য মানুষের এই চাপকে বলছেন মোটামুটি। অনেকে গতকাল টিকিটের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, অনেক বাসেই টিকিটের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর গত বছরের মতো এবারও যাত্রীর চাপ স্বস্তিদায়ক। অনেকেই টার্মিনালে এসে টিকিট কেটে লঞ্চে চড়েছেন। এ ঘাট থেকে চাঁদপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠিগামী লঞ্চগুলো যাত্রা শুরু করছে। লঞ্চগুলো যাত্রীতে ভরপুর। টার্মিনালেই টিকিট কেটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে পেরে যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন। ঘরমুখো মানুষের চাপে গতকাল ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে যানজট তৈরি হলেও আজ মোটামুটি ফাঁকা। আজ রাজধানীর ফর্মগেট, বনানী, খিলগাঁও, বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকালের তুলেনায় জ্যাম কম ছিল। বিশেষ করে রাজধানীর উত্তর প্রান্তে উত্তরা ও আবদুল্লাপুর এলাকায় যানজট সবচেয়ে কম। কাল ঢাকা আরও ফাঁকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সড়কের পরিস্থিতি ও যানজট নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩০টি ক্যামেরার মাধ্যমে যানজট প্রবণ জায়গাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোথাও যানজট হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সর্বাধিক পঠিত