Dhaka ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে আটজন নিহতের পর আতঙ্কে অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে গ্রামবাসী

  • আপডেট: ০৬:১২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩
  • 1764

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে ১৯৫টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে। জানা গেছে, ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সংস্কার) সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। পরেরদিন ৭ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ দাবি করেছে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেএনএফ ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-সংস্কার) মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কেএনএফ ‘ভা তে কুকি (ঠধ ঞব কঁশর)’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে নিহতদের এনআইডি কার্ড পোস্ট করে দাবি করেছে- তাদের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাত সদস্য হলেন- ভান দুহ বম, সাং খুম বম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম ও লাল ঠা জার বম। তারা সবাই খামতাংপাড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে তারা নিহত আরেক জনের পরিচয় দিতে পারেনি।
এদিকে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের সকল পরিবার অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে ।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ের দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রæপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর খামতাংপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কতজন এলাকা ছেড়েছে তার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।

সর্বাধিক পঠিত

লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

বান্দরবানে আটজন নিহতের পর আতঙ্কে অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে গ্রামবাসী

আপডেট: ০৬:১২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে ১৯৫টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে। জানা গেছে, ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সংস্কার) সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। পরেরদিন ৭ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ দাবি করেছে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেএনএফ ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-সংস্কার) মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কেএনএফ ‘ভা তে কুকি (ঠধ ঞব কঁশর)’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে নিহতদের এনআইডি কার্ড পোস্ট করে দাবি করেছে- তাদের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাত সদস্য হলেন- ভান দুহ বম, সাং খুম বম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম ও লাল ঠা জার বম। তারা সবাই খামতাংপাড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে তারা নিহত আরেক জনের পরিচয় দিতে পারেনি।
এদিকে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের সকল পরিবার অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে ।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ের দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রæপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর খামতাংপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কতজন এলাকা ছেড়েছে তার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।