০৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তর বন বিভাগের দুর্নীতির একক রাজা করেরহাটের এসিএফ হারুন

  • আপডেট: ০৪:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • 36

সজীব চৌধূরী : মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর যেন এসিএফ নয় বরং প্রতিষ্ঠানটির দুর্ণীতির একক রাজা হিসেবে পরিচিত তিনি। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো চলেন এই রাজা। শুধু তাই নয় আর্থিক অনিয়মের তুঘলকি কাণ্ড রয়েছে এই করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ হারুনের বিরুদ্ধে। বনের জমি দেখভাল করার দায়ীত্ব তার থাকলেও উল্টো বনের জমি বাণিজ্যে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। স্থানীয় সচেতন মহলের হুঁশিয়ারি, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশেও বন্ধ হচ্ছে না এই কর্মকর্তার দুর্নীতি। এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ করেরহাট থেকে নারায়নহাট পর্যন্ত বনের রাজা’ হিসেবে রাজত্ব করছেন। তার ভয়াবহ অনিয়মে উজাড় হচ্ছে করেরহাট থেকে ফটিকছড়ির বনভূমি। জানা গেছে, করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কার্যালয়টি আগাগোড়া একটি দুর্নীতির আখড়া। সব কিছুতেই চলে তার ভয়াবহ বাণিজ্য। বন রক্ষার নামে প্লট বানিয়ে বনের জমি বিক্রি, টাকার বিনিময়ে অবৈধ দখলদারদের পাকা দালান নির্মাণের সুযোগ, পাহাড় কেটে মাটি-বালু বিক্রি বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ কামাতেই সময় পার করেন এই বন কর্মকর্তা। বনে স্থাপনা নির্মাণ, গাছ কাটা, জোত বিক্রি ও পারমিট সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও মোছারখোলায় সবকিছুই চলছে এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ইশারায়। শুধু তাই নয়, তার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদে বন উজাড় করে কাঠ পাচার বন্ধ হচ্ছে না। একের পর এক সংরক্ষিত বনাঞ্চল বৃশূন্য করছে হারুন অর রশীদের নেতৃত্বাধীন একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ফটিকছড়ির বনাঞ্চল থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার কাঠ পাচার হচ্ছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে বনের জমিতে গ্রাম হয়ে উঠা ভীতিকর এই চিত্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনবিভাগের সংরক্ষিত জমিতে সামাজিক বনায়ন ছাড়া অন্য কোনো কিছুই করার বিধান নেই না থাকলে করেরহাট ও নারায়নহাট এর বনাঞ্চলে টাকা দিলেই সবই জায়েজ হয়ে যায়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থাপনা করার অনুমোতি থাকায় বেশিরভাগ সংরক্ষিত বনভূমিতে পাকা দালান করতে এই কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোন বাধাও আসেনা। আগামী সংখ্যায় থাকছে এসিএফ দৈনিক আয় এর চমকপ্রদ তথ্য

সর্বাধিক পঠিত

উত্তর বন বিভাগের দুর্নীতির একক রাজা করেরহাটের এসিএফ হারুন

আপডেট: ০৪:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

সজীব চৌধূরী : মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর যেন এসিএফ নয় বরং প্রতিষ্ঠানটির দুর্ণীতির একক রাজা হিসেবে পরিচিত তিনি। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো চলেন এই রাজা। শুধু তাই নয় আর্থিক অনিয়মের তুঘলকি কাণ্ড রয়েছে এই করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ হারুনের বিরুদ্ধে। বনের জমি দেখভাল করার দায়ীত্ব তার থাকলেও উল্টো বনের জমি বাণিজ্যে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। স্থানীয় সচেতন মহলের হুঁশিয়ারি, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশেও বন্ধ হচ্ছে না এই কর্মকর্তার দুর্নীতি। এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ করেরহাট থেকে নারায়নহাট পর্যন্ত বনের রাজা’ হিসেবে রাজত্ব করছেন। তার ভয়াবহ অনিয়মে উজাড় হচ্ছে করেরহাট থেকে ফটিকছড়ির বনভূমি। জানা গেছে, করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কার্যালয়টি আগাগোড়া একটি দুর্নীতির আখড়া। সব কিছুতেই চলে তার ভয়াবহ বাণিজ্য। বন রক্ষার নামে প্লট বানিয়ে বনের জমি বিক্রি, টাকার বিনিময়ে অবৈধ দখলদারদের পাকা দালান নির্মাণের সুযোগ, পাহাড় কেটে মাটি-বালু বিক্রি বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ কামাতেই সময় পার করেন এই বন কর্মকর্তা। বনে স্থাপনা নির্মাণ, গাছ কাটা, জোত বিক্রি ও পারমিট সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও মোছারখোলায় সবকিছুই চলছে এসিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ইশারায়। শুধু তাই নয়, তার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদে বন উজাড় করে কাঠ পাচার বন্ধ হচ্ছে না। একের পর এক সংরক্ষিত বনাঞ্চল বৃশূন্য করছে হারুন অর রশীদের নেতৃত্বাধীন একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ফটিকছড়ির বনাঞ্চল থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার কাঠ পাচার হচ্ছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে বনের জমিতে গ্রাম হয়ে উঠা ভীতিকর এই চিত্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়নহাট এর এসিএফ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনবিভাগের সংরক্ষিত জমিতে সামাজিক বনায়ন ছাড়া অন্য কোনো কিছুই করার বিধান নেই না থাকলে করেরহাট ও নারায়নহাট এর বনাঞ্চলে টাকা দিলেই সবই জায়েজ হয়ে যায়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থাপনা করার অনুমোতি থাকায় বেশিরভাগ সংরক্ষিত বনভূমিতে পাকা দালান করতে এই কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোন বাধাও আসেনা। আগামী সংখ্যায় থাকছে এসিএফ দৈনিক আয় এর চমকপ্রদ তথ্য